অক্টোবরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মহাসমাবেশ

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

আগামি অক্টোবর মাসে রাজধানী ঢাকায় সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
গতকাল শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ঢাকায় সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে একটি সমাবেশ করার কথা ছিল। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। ৩৪টি জেলায় প্রতিনিধি সভা করেছিলাম। বাকি জেলাগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রতিনিধি সভা করতে পারিনি। সব বিষয় বিবেচনা করে আমরা একই দিনে প্রতিটি জেলায় সাংস্কৃতিক সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আগামি কিছু দিনের মধ্যে প্রতিটি জেলায় সাংগঠনিক সফর সমাপ্ত করে অক্টোবর মাসে ঢাকায় সংস্কৃতি কর্মীদের নিয়ে মহাসমাবেশ আয়োজন করবো। সেই সমাবেশের মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ে আমাদের করণীয় ঠিক করে রাষ্ট্রসহ সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দেবো।
গোলাম কুদ্দুছ আরও বলেন, আজকে দেশে সম্প্রীতি নেই। সাম্প্রদায়িক কারণে, শ্রেণি-বৈষম্যের কারণে আবার জাতিগোষ্ঠীর নামে সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রীতিকে যদি ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে বাহাত্তরের সংবিধান পূর্ণ বাস্তবায়ন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই সমাবেশ থেকে আমরা বাহাত্তরের সংবিধানের পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ভাষাভিত্তিক ও সংস্কৃতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদ আমাদের জাতিসত্তার সংস্কৃতি, কিন্তু সেখানে একটি ঘাটতি হয়ে গেছে। ধর্মভিত্তিক সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছে- এর একটি কারণ তাদের জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা সমাজে এবং রাষ্ট্রে রয়েছে। তাদের এই আধিপত্যের কারণে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন বাধাগ্রস্ত হয়েছে- যার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে। সংস্কৃতির চর্চা একেবারে কমে এসেছে।
এখন আমাদের দেশে হিংসা, ধ্বংস, হত্যার সংস্কৃতির উত্থান ঘটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর বিপরীতে আমাদের দরকার ভালোবাসা, প্রেম এবং সম্প্রীতির সংস্কৃতি। আমরা সেটি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য আমাদের দরকার প্রত্যাখ্যানের সংস্কৃতি। প্রত্যাখ্যানের সংস্কৃতিতে না এলে সমাজ বদলানো যাবে না। খারাপ যা কিছু আছে তা আমাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। ধর্মের নামে অন্য ধর্মের ওপর যে নিপীড়ন চলে সেটিকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। প্রত্যাখ্যান করতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে হবে।
জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নৃত্য সংঘ সংস্থার সভাপতি মিনু হক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. নিমচন্দ্র ভৌমিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভ‚ঁইয়া, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান খানসহ অনেকে। খবর বিডিনিউজের