পূর্বদেশ ডেস্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তনশীল, এটা কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। এটা স্থায়ী কিছু না, জনগণের চিন্তার প্রতিফলন সংবিধান। আওয়ামী লীগ সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশ পরিবর্তন করে বলছে- সংবিধান কোনো দিন পরিবর্তন হবে না।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সংকট সমাধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল এ আয়োজন করে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
আমির খসরু বলেন, সংবিধান জাতীয় ঐকমত্য বা গণভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে। সংবিধানের ৭ ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন।
তিনি বলেন, যখন জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী মিলে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল, তখন বাংলাদেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন বজায় রেখে খালেদা জিয়া সংসদে তত্ত¡াবধায়ক সরকার বিল পাস করেছিলেন। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটা হয়েছিল কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এককভাবে এটা পরিবর্তন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের অসিলায় আওয়ামী লীগ ভোট চুরির প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে শুধু ভোটের দিন ভোট চুরি হয় না, সারা বছর ধরেই ভোট চুরির প্রকল্প চলে।
আমীর খসরু বলেন, সংবিধানের উসিলায় আওয়ামী লীগ ভোট চুরির প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা ও গায়েবি মামলাও এই প্রকল্পেরই অংশ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে দিতে হবে, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় বিদেশ পাঠিয়ে দিতে হবে, কারণ তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব না। বিএনপির ৪০-৫০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে জেলে পাঠাতে হবে, কারণ তাদের যে গণতান্ত্রিক স্পৃহা আছে তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
