শেখ হাসিনাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি

12

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেছেন, আহমদ ছফা লিখেছিলেন- ‘চর্যাপদ শ্রেষ্ঠ গীতিকাব্য নয়, মধ্যযুগের পদাবলীও শ্রেষ্ঠকাব্য নয়। শ্রেষ্ঠগীতি কাব্য হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবানা’। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নতি হয়েছে তা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পৌঁছে গেছি। শেখ হাসিনাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলেক্ষ নগরের সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ অদম্য অগ্রযাত্রায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সরকারের এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামি ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মহানগরীর ১৩০ জন ও জেলার ২২০ জনসহ মোট ৩৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল।
এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনে ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর, রেলওয়ে পুলিশ, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এপিবিএন, সিআইডি, আনসার-ভিডিপি, পরিবেশ অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, শিশু একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, খাদ্য বিভাগ, সমাজসেবা কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
এরপর সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত¡শাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এদিন সকাল ৮ টায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুলিশ, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, বাংলাদেশ স্কাউটস, গার্লস গাইড কর্তৃক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান পরিদর্শন শেষে সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, এনডিসি। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। শেষে জেলা শিশু একাডেমিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে (শারীরিক কসরত) অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। বিকেল ৪ টায় শিশুপার্ক, যাদুঘর ও চিড়িয়াখানায় বিনা টিকিটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি