পূর্বদেশ ডেস্ক
অল্প সময়ের ব্যবধানে ঝাঁকে ঝাঁকে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বড় শহরগুলোর বিভিন্ন স্থাপনায় পড়ার পর ইউক্রেনজুড়ে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক বলেছেন, বৃহস্পতিবার সকালে রাশিয়া সংবেদনশীল বিভিন্ন স্থাপনা ও জনবহুল এলাকা লক্ষ্য করে ১২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। রাজধানী কিইভে অন্তত দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে, তবে সেগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত না আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কারণে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর বিডিনিউজ।
খারকিভ, ওডেসা, লভিভ ও জিতোমিরের মতো শহরগুলোতেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ওডেসার আঞ্চলিক নেতা ম্যাকসিম মারশেঙ্কো বলেছেন, ইউক্রেইনের ওপর ‘বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ হয়েছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, সমুদ্র ও আকাশ পথে বিভিন্ন দিক থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র এসেছে। রাশিয়া তাদের হামলায় বিপুল সংখ্যক কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করেছে বলেও জানিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার সকালে
ইউক্রেইনের সব অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা কাজ করছে জানিয়ে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরিস্তোভিচ বেসামরিকদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিইভের শহর সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, নিচে পড়ে যাওয়া একটি রকেটে ধ্বংসাবশেষ একটি বেসামরিক ভবনে আঘাত হেনেছে। মেয়র ভিতালি ক্লিৎস্কোও রাজধানীতে একাধিক বিস্ফোরণের খবর দিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইকোলাইভের গভর্নর লিখেছেন, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা অন্তত ৫টি ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে পেরেছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভের মেয়র তার এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত করেছেন। পদোলিয়াক বলেছেন, মস্কো ‘গণহারে সংবেদনশীল স্থাপনা ধ্বংস এবং বেসামরিক নাগরিক হত্যা’ করতে চাইছে।
সা¤প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেনের স্থাপনাগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র মেরে দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা প্রায় ধ্বসিয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবারই লভিভের মেয়র বলেছেন, তার শহরের ৯০ শতাংশই বিদ্যুৎহীন। রাজধানীতে নতুন করে লোডশেডিং ও পানির সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ক্লিৎস্কোও।
স¤প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় তার বাহিনী হামলা চালাচ্ছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।