লোহাগাড়া প্রতিনিধি
লোহাগাড়ায় গাছ কাটার সময় মোজাম্মেল হক (৫০) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুর ২টার দিকে পশ্চিম চুনতি মিরিখীলের রাঙাপাহাড় এলাকার ফরিদুল আলমের বসতভিটা সংলগ্ন বাগানে এ ঘটনা ঘটেছে।
মোজাম্মেল হক কক্সবাজারের চকরিয়ার উত্তর হারবাং লালব্রিজ সংলগ্ন পূর্ব বিন্দাবনখিলের মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র। তিনি দুই ছেলে ও দুই কন্যার জনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাঙাপাহাড় এলাকার বদিউর রহমানের পুত্র ফরিদুল আলম চুনতি মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত (সরকারি) বিএস দাগ নং- ৩৭৩৭, ১৯১৩ নং খতিয়ানের বিএস দাগ নং- ৪৫ ও ২৫৩৮ নং খতিয়ানের ৩৭২৮ নং দাগের মোট ১৭.৩০ একর জমিতে বসতঘর, মসজিদ, পোল্ট্রি ফার্ম ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-দখলে রয়েছেন। কিছুদিন আগে বাগানটি চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনুর কাছে বিক্রি করেন। জনু চেয়ারম্যান ১০দিন আগে বাগানটি কাটা শুরু করেন। গতকাল রবিবার একটি গর্জন গাছ কাটার সময় গাছটি উল্টে মোজাম্মেল হকের মাথার উপর পড়ে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মোজাম্মেল হকের ছেলে ইমাম হোসেন বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে জানতাম না। রবিবার বিকেল ৩টার দিকে একটি জিপে করে কয়েকজন লোক বাবার লাশ বাড়ির পুকুর পাড়ে রেখে চলে যান। এরপরই জানতে পারলাম গাছ কাটার সময় বাবা গাছ পড়ে মারা গেছেন।
চুনতি বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র (অভয়ারণ্য) রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন বলেন, গাছ পড়ে শ্রমিক নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় গর্জন, জাম, গামারী, সাথিয়ান ও নাগেশ্বরীসহ ১১টি গাছ জব্দ করেছি। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, এটি একটি দুর্ঘটনা। মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ও সন্তানরা লাশ গ্রহণ করেছেন। তারা পোস্টমর্টেম না করার জন্য আবেদন করেন। তাই তাদের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে।