নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ মিরসরাইয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। এতে বিএনপি পরিবারের এক শিশুকে তারা মেরে ফেলেছে। উল্টো পুলিশকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা বিএনপির দুইজন নেতার বাড়িতে হামলা করেছে, ভাঙচুর চালিয়েছে। আমাদের কোনো কর্মসূচি এলেই আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা তারই ধারাবাহিক হামলা। এই ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে নিহত কিশোরের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে শুক্রবার মিরসরাইয়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ এবং ওই সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতির আলোকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারমান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে, বিএনপি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে। তারমধ্যে পড়ে দোকান শ্রমিক রোমন আহত হয়। পরবর্তিতে তার মৃত্যু হয়। ওই কর্মচারী সপ্তাম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। আওয়ামী লীগ দাবি করছে, সে ছাত্রলীগ করে। তাদের যে দাবি তাতে মনে হয় প্রাইমারি স্কুলের শিশুরাও ছাত্রলীগ করে।
তিনি বলেন, যতই ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করা হোক, এগুলো করে কিছু হবে না। শেষ রক্ষা হবে না। সরকার নিজেকে রক্ষার জন্য শেষ মরণকামড় দেয়ার চেষ্টা করছে। এসব করে তারা পার পাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহব্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, রোডমার্চ কর্মসূচি সফল করার জন্য মিরসরাইয়ে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের বাড়িতে প্রস্তুতিসভার আহবান করা হয়। প্রস্তুতিসভা শেষে সবাই বের হয়ে যাওয়ার মুহুর্তে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। আমাদের লোকজনও আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এ সময় পাশের এক দোকান কর্মচারী মোবাইলে সেই হামলার ঘটনা ভিডিও করছিল। আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে সে পুকুরে পড়ে যায়। পরবর্তিতে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, হামলায় মারা যাওয়া শিশুটি কোনো রাজনীতি করতো না, সে একটা দোকানের কর্মচারী। তার পরিবার বিএনপির সমর্থক। সে হিসাবে মারা যাওয়া শিশুটিও বিএনপি পরিবারের সদস্য। এখন আওয়ামী লীগ তাকে তাদের লোক বলে দাবি করছে। অথচ পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ এই শিশুটিকে হত্যা করেছে। বিএনপির কর্মসূচিকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের হামলা হয়েছে।
গোলাম আকবর বলেন, ঘটনার পর রাতে আমাদের নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা এসব হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উত্তর জেলা বিএনপির আহব্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-প্রচার সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সদস্য ব্যরিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়াত হোসেন, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।