শাহ্ সাহেব কেবলা চুনতী কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী ৫২তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) এর ১৬তম দিনের অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম লোহাগাড়া চুনতীর শাহ্ মনজিল সীরত ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ছদরে মাহফিল ছিলেন পটিয়া আল জামিয়াতুল ইসলামিয়ার নায়েবে মুহতামিম মুফতি মাওলানা আবু তাহের নদভী। কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন ইকবাল হোছাইন, হাফেজ মুহাম্মদ ফারদিন আরফাত রাযিন, হাফেজ মুহাম্মদ জাহেদুল্লাহ।
বাদ আছর অধিবেশনে “কালিমা তাইয়্যবাহ এর পরিচয়, তাৎপর্য ও শিক্ষ বর্ণনা” বিষয়ে আলোচনা করেন চকরিয়া বায়তুল সালাম স্টেশন জামে মসজিদের হাফেজ মাওলানা আবদুর রহিম। বাদ মাগরিব অধিবেশনে “ইসলামে নিকাহের গুরুত্ব ও শরয়ী বিধান, বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি ও যৌতুক প্রথার কুফল বর্ণনা” বিষয়ে আলোচনা করেন লোহাগাড়া রাজঘাটা হোছাইনিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা সৈয়্যদুল আলম আরমানি। বাদ এশার অধিবেশনে আলোচনা করেন সীতাকুন্ড কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক ও “সূরা কাউসারের তাফসীর ও শিক্ষা” বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা মারকাযু তাহরিকে খতমে নবুয়্যত কারামাতিয়া মাতলাউল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা আবদুর রহিম। বক্তারা বলেন, বিবাহের সময় মেয়ের বাড়িতে শর্ত করে আপ্যায়ন গ্রহণ করা হারাম। ‘ছেলেপক্ষ যে অর্থ দেয় তা হলো মহর, মেয়েপক্ষ যা দেয় তা হলো যৌতুক।’ মেয়ের বাড়িতে শর্ত করে আপ্যায়ন গ্রহণ করাও হারাম যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত। যৌতুক চাওয়া ভিক্ষাবৃত্তি অপেক্ষা নিন্দনীয় ও জঘন্য ঘৃণ্য অপরাধ। বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনাকে দাওয়াত দেওয়া হলে আপনি তাতে অংশ নেবেন। যদি এ ধরনের অনুষ্ঠানে হারাম কিছু না থাকে তবে সেই দাওয়াত গ্রহণ করা সুন্নত। বক্তারা আরও বলেন, কেননা ইসলামের স্বীকৃতি মতে বিয়ে একটি ইবাদত ও আনুগত্যের স্মারক। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনার অংশগ্রহণ মানে কাক্সিক্ষত ঘোষণার সফল বাস্তবায়ন এবং বিয়ে সংঘটিত হওয়ার সাক্ষিকে মজবুত করা। তাছাড়া এর মাধ্যমে আপনার মুসলিম ভাই ও বোনের এমন একটি সৎকাজে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে, যে সৎকাজটি দ্বারা তারা দ্বীনের অর্ধাংশ অর্জন করেছে। আর এতে করে সহজ হয়ে যাবে দ্বীনের বাকি অংশ লাভ করা। তাই আপনি দাওয়াতে যাওয়ার সময় নিয়ত করে নেবেন যে, আপনি একটি বরকতমন্ডিত কাজে অংশগ্রহণ করছেন। শরিয়াসিদ্ধ একটি অনুষ্ঠানে আপনি উপস্থিত হচ্ছেন। যেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ রয়েছে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের।
চুনতি হাকিমিয়া অনার্স মাস্টার্স মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন ও সিনিয়র শিক্ষক জিয়াউল করিমের যৌথ সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুল হক নিজামী, মাহফিল মোতওয়াল্লী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা আব্দুল মালেক ইবনে দিনার নাজাত, মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, শাহজাদা মাওলানা ইমাম বায়হাকী (ইতামাম), শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার, শাহযাদা আনোয়ার উল্লাহ সুজাত, শাহযাদা আসমাউল্লাহ ইমরাত প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি