মীরসরাইয়ে কচু চাষ

11

মীরসরাইয়ে চলতি মৌসুমে সাড়ে ৬ কোটি টাকার কচু বিক্রির আশা করছেন চাষিরা। এরই মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ কচু বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এখন জমি থেকে কচু উত্তোলন ও বাজারে বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার ১৫০ একর জমিতে কচু আবাদ করা হয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কচু চাষ হয় মঘাদিয়া ইউনিয়নে। এখানকার জমিগুলো অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় অন্য কোনো ফসল চাষ সম্ভব নয়।
এ জন্য কৃষকেরা যুগ যুগ ধরে কচু চাষ করছেন। এছাড়া উপজেলার সাহেরখালী, হাইতকান্দি, খৈয়াছরা, কাটাছরা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার নিচু জমিতে কচু চাষ করা হয়। কৃষক শামসুল আলম বলেন, ‘আমি প্রায় ২৫ বছর ধরে কচু চাষ করে আসছি। এবারও ৬৫ শতক জমিতে চাষ করেছি। এরই মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার কচু, লতি ও পোঁপা বিক্রি করেছি। আরও ১৫ দিন ধরে বিক্রি করতে পারবো।’ মিরসরাই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চাষি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৭০ শতক জমিতে কচু আবাদ করেছি। আমার জমি নিচু হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় পানি জমে থাকে। তাই অনেক বছর ধরে কচু আবাদ করে লাভবান হই।
এবারও প্রায় ২ লাখ টাকার কচু বিক্রি করেছি।’ শুধু শহীদুল নন, এভাবে কচু চাষের সঙ্গে জড়িত আছেন উপজেলার অনেক কৃষক। কচু চাষ করে তারা এখন অনেকটা স্বাবলম্বী। চাষি ভোলা মিয়া বলেন, ‘উপজেলার মধ্যে আমাদের গ্রামে সবচেয়ে বেশি কচু আবাদ করা হয়। বাপ-দাদার আমল থেকে কচু চাষ হয়ে আসছে। আমরা এখনো কচু চাষ করে যাচ্ছি।’ মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৫০ একর জমিতে ৫০০ কৃষক কচু চাষ করেছেন। যাতে উৎপাদন হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। কচুর বর্তমান বাজারমূল্য কেজিপ্রতি ২০ টাকা। এ হারে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার কচু বিক্রি হবে। এ বছর রেকর্ড ছাড়িয়েছে। কচুর লতি এবং ফুল (পোঁপা) এ হিসাবের মধ্যে ধরা হয়নি।’- জাগো নিউজ