মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ : একটি পর্যালোচনা

202

 

মিটফোর্ড হাসপাতাল ঢাকা তথা বাংলাদেশের প্রথম পাশ্চাত্য ধারার হাসপাতাল। এটি বাংলাদেশের মানুষের জীবন, সমাজ ও সংস্কৃতির বিবর্তনের এক উল্লেখযোগ্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। উনিশ শতকে বাংলা তথা উপমহাদেশে যে নবজাগরণ বা আধুনিকতার বিকাশ ঘটে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিজ্ঞান। আর এই বিজ্ঞান ও বিদ্যাকে এদেশে জনপ্রিয় করে তোলে মিটফোর্ডের মতো হাসপাতাল। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পুরাতন ঢাকায় অবস্থিত। ঢাকায় কলেরা রোগের মহামারির কারণে শত শত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মুত্যৃর হওয়ার ফলে স্যার রবার্ট মিটফোর্ড নিজস্ব অর্থায়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এর পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল মিটফোর্ড হাসপাতাল। ১৮৫৫ সালের পূর্বে এটি ওলন্দাজ কুঠি ছিল। কেউ কেউ আবার ডাচ কুঠির নাম ব্যবহার করতো এবং যা ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতো। ঢাকার তৎকালীন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি রবার্ট মিটফোর্ডের উইল করা অনুদানের অর্থ দিয়ে এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। প্রথম দিকে মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৬২ সালে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং মেডিকেল কলেজের নামকরণ করা হয় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।
মিটফোর্ড হাসপাতালের উদ্ভব ও বিকাশ
স্যার রবার্ট মিটফোর্ড প্রথম ১৮২০ সালে মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্যার রবার্ট মিটফোর্ড তৎকালীন ঢাকার কালেক্টর ছিলেন এবং দীর্ঘদিন তিনি প্রাদেশিক আপীল বিভাগের বিচারপতিও ছিলেন। তাঁর সময়কালে ঢাকাতে কলেরা রোগের মহামারি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিদিন প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন মানুষ মারা যেত। মেডিকেল সুবিধা তখন খুবই অপর্যাপ্ত ছিল। স্যার মিটফোর্ড এই অবস্থা দেখে খুবই ব্যথিত হন। এ কারণে তিনি একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিঃসন্দেহে এটি একটি মহতী উদ্যোগ ছিল। আর স্যার রবার্ট মিটফোর্ড হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য সমস্ত সম্পত্তি ১৯০৪ সালে মিটফোর্ড বাংলার সরকারকে উইল (১৮৩৬ সালে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা) করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর উত্তরাধিকারীদের জন্য এই উইল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
১৮৫০ সালে সর্বোচ্চ আদালতের চ্যান্সারি বিভাগের রায় অনুযায়ী বাংলার সরকার মিটফোর্ডের সম্পত্তি থেকে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা লাভ করেন। লর্ড ডালহৌসির উদ্যোগে এই ফান্ড দিয়ে ১৮৫৪ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পূর্বে এই স্থানটি ডাচ কুঠির হিসেবে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হতো। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পেছনে স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অনুদান অপরিসীম। তাদের মধ্যে মিসেস সন্তোষ রানী দিম্ময় চৌধুরী, মিঃ রায় গৌর নেতাই সাহা শঙ্খনিধি ও মি. সন্তোশ রাজা মম্মোথ রায় চৌধুরী প্রমুখ। বাবু প্রতাপ চন্দ্র দাশ সুপেয় পানি ও স্যুয়ারেজ প্লান্ট স্থাপনের খরচ বহন করেন। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর টানা কাজ করেন। আর দাতা রবার্ট মিটফোর্ডের নামানুসারে স্থাপিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর ফলে বাংলা সরকার সবকিছু বিবেচনা করে ১৮৫৮ সালের ৩১ মার্চের পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১ মে মিটফোর্ড হাসপাতাল উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে ১৮৫২ সালের সিদ্ধান্তের পরপরই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। রবার্ট মিডফোর্ডের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিবন্ধে শরীফ উদ্দিন আহমেদ লিখেন, পুরুষদের জন্য দুটি ও মহিলাদের জন্য একটি ওয়ার্ডসহ ৮২টি বেড/সিটের ব্যবস্থা করা হয়। এই হাসপাতাল ব্রিটিশ শাসিত তৎকালীন পূর্ব বাংলার প্রথম জেনারেল হাসপাতাল। শুরু থেকে এই হাসপাতালটি ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির একটি বোর্ডের অধীনে ছিল। ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ও ভাঁওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুর অনুদানের অর্থ দিয়ে ১৮৮২ সালে হাসপাতালে মহিলাদের জন্য পৃথক একটি ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। নবাব আহসানউল্লাহ ১৮৮৮-৮৯ সালে একই সাথে ৫০ হাজার টাকা দান করেন এবং একই এলাকায় ‘ Lady Duffer in Hospital ’ প্রতিষ্ঠার জন্য। ১৮৮৭ সালে হাসপাতালে একটি ইউরোপিয়ান ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৮৮৯-৯০ সালে ভাগ্যকুলের রাজা শ্রীনাথ রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তার মায়ের স্মরণে হাসপাতালে একটি চক্ষু ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১৭ সালে এটি প্রথম শ্রেণির হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় ১২.৮ একর জায়গা জুড়ে হাসপাতালটি অবস্থিত। হাসপাতালটি ইনডোর এবং আউটডোর ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সার্ভিস প্রদান করে থাকে। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় ২৫০০ আউটডোর রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। প্রতিনিয়ত সেবার মান বৃদ্ধিসহ রোগীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মিটফোর্ড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইতিবৃত্ত
ঢাকার প্রথম মেডিকেল স্কুলটি মিটফোর্ড হাসপাতালেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবে কলকাতায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পূর্বেই এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বিশেষ করে বাংলা শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভিড় বেড়েই চলছিল। এ কারণে তৎকালীন গভর্নর স্যার জর্জ ক্যাম্পবেল ১৮৭৩ সালে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন। তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে কলকাতা, ঢাকা ও পাটনায় তিনটি মেডিকেল স্কুল স্থাপন করা হবে। বিশেষ করে যেখানে পাঠদান করা হবে বাংলায়। ঢাকায় মেডিকেল স্কুল স্থাপনের বিষয়ে সরকার যে মন্তব্য করেছিলেন- “ঢাকার স্কুলটি প্রতিষ্ঠায় পূর্ববঙ্গের ১৩ মিলিয়ন জনগণের প্রয়োজন মেটাবে। তবে কলকাতার স্কুলে অধ্যয়নরত ছাত্রের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ পূর্ববঙ্গের। এর ফলে পাশ্চাত্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার বিস্তার ঘটেছে। ঢাকার স্কুলটি আসামেরও প্রয়োজন মেটাবে।” কিন্তু এর ১০ বছর পূর্বেও ঢাকাবাসীরা ঢাকায় একটি মেডিকেল স্কুল স্থাপনের আবেদন করেছিলেন। তৎকালীন ঢাকা ও পূর্ববঙ্গের প্রভাবশালী একটি পত্রিকা ‘ঢাকা প্রকাশ’ লিখেছিল, ‘ঢাকায় বিদ্যালয়ের সংখ্যা কেবল মন্দ হয় নাই। কিন্তু একটি চিকিৎসা বিদ্যালয়ের অভাব এবং এর জন্য পূর্ববঙ্গবাসীর অসুবিধা হয়েছিল।’ পরবর্তীকালে এ সিদ্ধান্তে গৃহীত হয় যে, নতুন মেডিকেল স্কুল সংশ্লিষ্ট থাকবে মিটফোর্ড হাসপাতালটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল তথা তৎকালীন মিটফোর্ড হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঢাকার সে সময়ের কালেক্টর রবার্ট মিটফোর্ড এই মহতী উদ্যোগ নেয়। ১৮৩৬ সালে তাঁর মৃত্যুর সময়ে তিনি তাঁর সম্পত্তি এই হাসপাতালের জন্য দান করে যান। লর্ড ডালহৌসি এই সম্পত্তির উপর হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তÍ নেয়। তাঁর দানকৃত সম্পত্তির মূল্য ছিল ১৮৩৬ সালের হিসাবে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ১৮৫৮ সালে পূর্ববঙ্গ তথা বর্তমান বাংলাদেশের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পাশ্চাত্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের যাত্রা শুরু। মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন মাস পর অর্থাৎ ১৮৫৮ সালের ২ আগস্টে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে এক আইন পাস করে ভারতবর্ষের শাসনভার ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়ার হাতে অর্পণ করেন। এর ফলে উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বের অবসান ঘটে এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে পরিণত হয়। তখনই জন্ম হয় মিটফোর্ড হাসপাতালের। মিটফোর্ড হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা ও নামকরণের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীকালে এ সমস্যারও অবসান ঘটে। সে সাথে একটি গ্রন্থাগারও প্রতিষ্ঠা করা হয়। গ্রন্থাগার হলো বইপত্র ও গবেষণা তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণের স্থায়ী ব্যবস্থা। যেখানে শ্রেণিকরণ ও সূচিকরণ অনুযায়ী বইপত্র ও গবেষণার তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করা হয়।
১৮৩৬ সালে এদেশে মেডিকেল পড়ার জন্য কোনো ইনস্টিটিউশন ছিল না। এজন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের পাশে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়। ১৮৭৫ সালের ১৫ জুন ঢাকা মেডিকেল স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে ঢাকা বিভাগের ডিসি W.R. Larmini ১৮৮৭ সালের এপ্রিলে একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৮৮৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলার গভর্নর Sir Stuart Caulvin এটি উদ্বোধন করেন। ১৬ জন স্থানীয় রাজা ও দাতাদের সহায়তায় ১৮৮৯ সালে মেডিকেল স্কুল ভবনটি নির্মাণ করেন। প্রথম বছরে প্রায় ৩৮৪ জন শিক্ষার্থীকে করা ভর্তি হয়েছে। তখন থেকে স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টির অধীনে চার বছর মেয়াদী LMF (Licentiate of Medical Faculty) কোর্সের ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করা হতো। ১৯৫৭ সালের পর থেকে LMF কোর্স বাতিল করা হয়েছে। বিভিন্ন পট-পরিবর্তনের ফলস্বরূপ অর্থাৎ ১৯৬২ সালে এটিকে পুর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৬২ সালে এর নামকরণ করা হয় মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ। তবে এই নামকরণ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৬৩ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মোনেম খানের নাম পরিবর্তন করে প্রাক্তন নবাব এবং উপমহাদেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব স্যার সলিমুল্লাহকে চিরস্মরণীয় করার জন্য স্যার সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজ নামকরণ করা হয়। এর পর থেকে কলেজের অব-কাঠামোরও ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে।
পূর্ব-পাকিস্তান সরকার যথাসময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং প্রাদেশিক গভর্নরের আদেশক্রমে ১৯৬৩ সালের ৪ অক্টোবরে নিম্নলিখিত প্রজ্ঞাপন জারি করেন- “ Government are pleased to decide that the Mitford Medical College, Dacca be named as Sir Salimullah Medical College Dr. AFM Nurul Islam ১৯৬৩ সালে প্রিন্সিপ্যাল যোগদান করে শর্ট কোর্স চালু করেন। পরবর্তীকালে প্রখ্যাত Professor Dr. Md. Ibrahim প্রিন্সিপালের দায়িত্ব নেয় এবং তাঁর তত্ত্বাবধানেই ১৯৭২ সালে এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং পরের বছর ১৯৭৩ সালের ৮ ফেব্রæয়ারিতে এমবিবিএস ডিগ্রির জন্য প্রথম ব্যাচের ক্লাস শুরু করা হয়।
স্যার সলিমুল্লাহর মেডিকেল কলেজ (২০১৪ সালের মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। যা ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ঢাকার সিভিল সার্জন এই হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। এরপর থেকে একজন করে প্রিন্সিপাল ও সুপারিন্টেনডেন্টকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৮৪ সালে হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট পদকে বিলুপ্ত করা হয় আর পদের নামকরণ করা হয় পরিচালক। ২০০২ সালের জানুয়ারি থেকে প্রথম পোস্ট গ্রাজুয়েশনের কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে পোস্ট গ্রাজুয়েশন লেভেলে এই মেডিকেল কলেজ থেকে Surgery, Medicine, Gynecology, Obstetrics প্রভৃতি বিযয়ে MD, MS and diploma প্রভৃতি উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও এই মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নের জন্য বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা আসে।

লেখক : গ্রন্থাগার বিভাগের প্রধান
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাাম