মাথায় হেলমেট পরে, রাম দা হাতে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ

16

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ সিএফসি এবং সিক্সটি নাইনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শাহজালাল হল ও শাহ আমানত হল সংলগ্ন একটি দোকানে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দোকানে বিবাদমান গ্রুপ দুটির সিনিয়র এবং জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরেই শাহজালাল হলে অস্থানরত সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মী ও শাহ আমানত হলে অবস্থানরত সিএফসির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা চলে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী মাথায় হেলমেট পরে, হাতে রাম দা, লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একপক্ষ অপরপক্ষের ওপর আক্রমণ চালায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্ট্ররিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আহত ৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্য থেকে ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে এ ঘটনায় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরাই একে অপরকে দোষারোপ করছেন। শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা সাইদুল হক সাইদ বলেন, দুই/আড়াই মাস আগে সিএফসি আর সিক্সটি নাইনের মধ্যে একবার সংঘর্ষ হয়েছিল। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলাও হয়েছিল। আমরা চাচ্ছিলাম যে নিজেদের মধ্যে কথা বলে এসব মামলা তুলে নিতে। কিন্তু এর মধ্যে তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আর আমাদের ছেলেরাও তাদের প্রতিহত করেছে।
অপরদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিএফসির নেতা মির্জা খবির সাদাফ (সাদাফ খান)। তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছিলাম যে আজকে বিএনপি ক্যাম্পাসে শোডাউন দেবে। সে শোডাউন প্রতিহত করার জন্য নিজেদের মধ্যে একটা মিটিং করছিলাম। মিটিং চলাকালীন সময় সিক্সটি নাইনের ছেলেরা আমাদের হলের সামনে এসে উল্টাপাল্টা কথা বলছিল এবং পরিকল্পিতভাবে আমাদের ছেলেদের সাথে বাজে আচরণ করে। এরপর আমাদের ছেলেরাও উত্তেজিত হয়ে যায়। যার ফলে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়েই আমরা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। আমরা দুই পক্ষকেই শান্ত করে যার যার হলে পাঠিয়ে দিয়েছি। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।