মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়ে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসী সাহাব উদ্দিন (৩০) উপজেলার কালারমারছড়াস্থ নুনাছড়ির আব্দু রহিম প্রকাশ লেডাইয়ার ছেলে। সাহাব উদ্দিন কালারমারছড়ায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
মহেশখালী থানা সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য ও ইয়াবা কারবারের বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে দুই পক্ষের গোলাগুলি শুরু হলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গহীন পাহাড়ে পালিয়ে যায়। তারা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে কালমাদিয়া ঘোনার পাহাড়ের ভিতরে গুলিবিদ্ধ মুমূর্ষু অবস্থায় সাহাব উদ্দিনকে উদ্ধার করে। এ সময় জঙ্গল থেকে দেশীয় তৈরি ১টি লম্বা বন্দুক, ৪টি এলজি, ১৩ রাউন্ড কার্তুজ, গুলি রাখার একটি ব্যাল্ট, গুলির খোসা ১৭টি, ১০৯ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় শাহাব উদ্দিনকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা, হত্যার চেষ্টা, চাঁদবাজি, অপহরণ, অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে ১২টির অধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, নিহত সাহাব উদ্দিন মহেশখালী কালারমারছড়ার একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ছিলেন। সে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। সাধারণ মানুষ তার নিকট জিম্মি ছিল। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হবে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।