মহাসমাবেশের সাথে সাথে ওয়ার্ড সম্মেলনও শেষ করার সিদ্ধান্ত

18

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নগরের রেলওয়ের পলোগ্রাউন্ড মাঠে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাড়াও আশপাশের এলাকাও লোকে লোকারণ্য করার পরিকল্পনা নিয়েছে নগর আওয়ামী লীগ। তারা চাইছে সম্প্রতি নগর বিএনপির মহাসমাবেশে যে পরিমাণ লোক জমায়েত হয়েছে, তার চেয়েও বেশি লোক জমায়েত করতে। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শুধু বড় সমাবেশ নয়, সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ সমাবেশ যেন বিশাল জনসমূদ্রে পরিণত হয় সেই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নীতি-আদর্শ এবং শৃঙ্খলাকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশে যোগদান করবেন। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটতে দেওয়া হবে না।
এদিকে সভায় আগামী ২৪ ঘণ্টার (৩১ অক্টোবর) মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সম্মেলনের স্থান সহ তারিখ মহানগর কার্যালয়ে পৌঁছানোর জন্য সিদ্ধান্ত হয়। অপর এক সিদ্ধান্তে প্রতিটি থানা এলাকায় এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে সাংগঠনিক টিমের তত্ত্বাবধানে ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে এবং ওয়ার্ড এবং থানা সম্মেলনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সভায় সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, ৪ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের সাথে সাথে ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলনগুলো যাতে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবশ্যই অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সভায় সাংগঠনিক টিমের প্রধানদের বক্তব্যের আলোকে আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে কোনোপ্রকার আপত্তি নাই, সেগুলোতে আমরা দ্রæত সম্মেলন করবো। উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড, উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড, ২৬ নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড, ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড, ১ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেসব ওয়ার্ডের সাংগঠনিক টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দকে থানা এবং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, যারা দলে আছেন, দল করেন এবং আগামী দিনে নেতৃত্বে আসবেন, তাদেরকে অবশ্যই পরিশুদ্ধ হয়ে দলের নীতি-আদর্শের প্রতি অনুগত থাকতে হবে।
সভায় শিক্ষা-উপমন্ত্রী ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে। সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা মহানগরের সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এ লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নাই। আমরা এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে সামনের দিকে এগুতে চাই। তিনি বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আমাদের সবাইকে এখন থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
সভায় সাংগঠনিক টিমের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, ধর্ম সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ সমশের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, জোবায়েরা নার্গিস খান, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, মো. শহিদুল আলম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল মনছুর, নুরুল আবছার মিয়া, কামরুল হাসান বুলু, গাজী শফিউল আজিম, সৈয়দ আমিনুল হক, জাফর আলম চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দিন খান, আহমদ ইলিয়াছ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোহব্বত আলী খান, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ খান, আবদুল লতিফ টিপু, রোটারিয়ান ইলিয়াছ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।