চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষক প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেয়ায় উপগ্রুপ একাকারের নেতাকর্মীরা এ ভাঙচুর চালিয়েছে। এছাড়া তারা শাটল ট্রেনও আটকে দেন। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন উপাচার্যের (ভিসি) সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোট ৪ বিভাগে বেশ কয়েকজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক প্রার্থী ছিলেন ওশানোগ্রাফি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদ। তাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাখা ছাত্রলীগের একাকার গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। এসময় তারা বেশ কিছু কাপ পিরিচ ও কার্যালয়ের বাইরের ফুলের টব ভাঙচুর করেন।
এছাড়াও তারা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে শহরমুখী সাড়ে পাঁচটার ট্রেনও আটকে দেন। পরবর্তীতে রাত সাড়ে আটটায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন রাত সাড়ে আটটায় ক্যাম্পাস থেকে শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও একাকার গ্রুপের নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘আজকে সিন্ডিকেটে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি ও সরকারবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িতদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকীদের চাইতে বেশি যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রিসেন্ট কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িতদের শিক্ষক থেকে বাদ দিতে হবে। আর দ্বিতীয় দাবি হল, ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী রাইয়ান আহমেদকে মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।’
কার্যালয়ে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শাটল ট্রেন অবরোধের বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী সাড়ে পাঁচটার শাটল ট্রেন অবরোধ করেছিল। আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। রাত সাড়ে আটটায় তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে। ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাদের দাবি-দাওয়া যা আছে তা নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করতে বলেছি।’