বৃষ্টি নেই, তবুও পানিতে ডুবল ব্যস্ত জিইসি মোড়

11

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেঘ নেই, নেই বৃষ্টিও, ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশ। এরপরও রাস্তায় জমেছে হাঁটুপানি। তবে পরিষ্কার পানি নয়, নোংরা ও কাদাযুক্ত পানিতে সয়লব সড়ক। নগরের জিইসি মোড়ে হঠাৎ এমন দৃশ্যের দেখা মিলে। আর এই নোংরা পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে পথচারীদের। গতকাল শনিবার সকাল থেকে এমন দুর্ভোগে পড়তে হয় জনগণকে।
নগরের মধ্যে উঁচু এলাকাগুলোর একটি জিইসি মোড়। সেই উঁচু মোড়েই বৃষ্টিহীন দিনে পানি। সকালে পানি বেশি জমলেও বিকাল হতে তা আস্তে আস্তে কমে আসে। পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রথমে ওয়াসার পাইপলাইনের লিকেজ থেকে পানি উঠেছে ধারণা করলেও পরে জানা যায়, এটা নালার নোংরা পানি। নালায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়াতে পানি সড়কে উঠে আসে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, জিইসি মোড়ে নালার ভেতরে প্রতিবন্ধক থাকায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। এই প্রতিবন্ধক খুঁজে বের করতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। বাধা অপসারণের পর পানি নেমে যায়।
সূত্র মতে, জিইসি মোড়ের সিডিএ অ্যাভিনিউর জিইসি কনভেনশন সেন্টার থেকে সেন্ট্রাল প্লাজার দিকের নালাতে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য জমে প্রতিবদ্ধকতা তৈরি হয়। ফলে পানি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রতিবন্ধকতার কারণে উপর থেকে নেমে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাস্তায় উঠে যায়। সিটি করপোরেশন প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করার পর স্কেভেটর দিয়ে তা অপসারণ করে। দুপুরের পর থেকে আস্তে আস্তে পানিও নামতে থাকে।
আনিসুল ইসলাম নামের এক পথযাত্রী বলেন, ঝকঝকে আকাশ, বৃষ্টি বা মেঘ নেই। রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। জিইসি মোড় পুরোটাতেই হাঁটুপানি। বাধ্য হয়ে এই নোংরা পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, জিইসি মোড়ে আমাদের পাইপলাইনে কোনো লিকেজ হয়নি। কোথাও লিকেজ হলে আমাদের টিম তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।