ঢাকা প্রতিনিধি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে অনড়। এ ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিএনপিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি আমাদের সে অনুরোধ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, তারা নির্বাচন কমিশনকে সরে যেতে বলেছেন। তারপরও তাদের প্রতি আহব্বান থাকবে, নির্বাচনে অংশ নেন। আমাদেরকে নির্বাচন করতে হবে। সংবিধান থাকলে নির্বাচন হবেই। বড় বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না আসলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হবে বলেও মন্তব্য করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, সম্প্রতি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া সংসদীয় আসনগুলোতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন গ্রহণ করা হবে। তবে ওইসব কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের আর্থিক সঙ্গতি কমিশনের আপাতত নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচনের সক্ষমতা রয়েছে। আরও ইভিএম কেনার জন্য সরকারের কাছে আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ওই বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন মেশিন কিনে আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু ইভিএম নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে কিছু মেশিন মেরামতযোগ্য, আর কিছু একেবারেই বিনষ্ট। এ মেশিনগুলো জাতীয় সম্পদ। এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। ওই প্রকল্পটি অনুমোদন হলে ইভিএমগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে দেশের অর্থ সাশ্রয় হবে।