ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
ফটিকছড়িতে আনোয়ারুল আজিম (৪৩) নামের এক যুবককে নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পেতি বাদশার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হক জানান, ‘সেদিন রাতে এশার নামাজ পড়তে যাবে বলে ঘর থেকে বের হন তিনি। পরে নামাজের সময় পেরিয়ে গেলেও ছেলে ঘরে না ফেরায় তার মা রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন মসজিদে খোঁজ নিতে বের হন। ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে বাড়ির গেটের সামনে গেলেই দেখতে পান ছেলের রক্তাক্ত লাশ। পরে বাড়ির লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে রাউজান উপজেলার গহিরা জেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মুখ-গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
নিহত আনোয়ারুল আজিম ওই এলাকার মৃত ফজল বারিকের ছেলে। তার ১২ বছর বয়সী ১ মেয়ে, ৭ ও ৪ বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি পরিবারসহ চট্টগ্রাম নগরীতে বসবাস করলেও মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। বৃহস্পতিবারও তিনি পরিবার নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। বিনয়ী, নামাজি, শান্তশিষ্ট আনোয়ার আজিম নিহত হবার ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এলাকাবাসী জানান, আজাদী বাজারে জনৈক ইলিয়াস গং কর্তৃক তাদের জায়গা ও মার্কেট দখল নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।উল্লেখ্য, নিহত আনোয়ারুল আজিম লন্ডনস্থ বৃহত্তর ফটিকছড়ি সমিতি এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি ও ফটিকছড়ির ধর্মপুরের মো. ইসহাক চৌধুরীর নাতি।
খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়। পরে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, ‘অজ্ঞাত দুস্কৃতকারীরা তাকে হত্যা করেছে। লাশের মুখ, গলাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের সাথে কথা বলে বিষয়টি বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’