বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায় স্কটল্যান্ড

9

স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছয় সদস্যের পার্লামেন্টারি গ্রæপের (সিপিজি) একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করে। এ সময় তারা বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্কটল্যান্ড সংসদের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি ফয়সল চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বৈঠকে প্রতিনিধিত্বকারী দলটির নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন মাইলস ব্রিগস, ইভলিন টুইড, জুনেদ হোসেন চৌধুরী, ফারহান মাসুদ খান ও মো. লুৎফুর রহমান। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
স্কটিশ সংসদ সদস্যরা বলেন, ভাষাগত অদক্ষতা বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ভাষা শেখানোসহ বৃত্তিমূলক ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ফয়সল চৌধুরী বলেন, স্কটল্যান্ড বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। প্রতিনিধি দল গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের উচ্ছ¡সিত প্রশংসা করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীরা স্কটল্যান্ডের মূলধারার রাজনীতিতে জড়িত এবং বর্তমানে প্রায় ২০০ বাংলাদেশি দেশটির কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পর্যটনে বাংলাদেশ-নেপাল-মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ : পারস্পরিক স্বার্থে পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ,নেপাল ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ, নেপাল ও মালদ্বীপ পারস্পরিক স্বার্থে পর্যটনে সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারে।’ গতকাল সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে আসেন বাংলাদেশে মালদ্বীপের বিদায়ী হাইকমিশনার প্রæজিমাথ সমীর। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, বৈঠকে পর্যটন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে দেশটির নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশি কর্মী মালদ্বীপে কাজ করছেন। তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।’
মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় দায়িত্ব পালনে তার সরকারের সর্বাত্মক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তার মেয়াদে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।