নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় প্রাণ পেয়েছে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত চট্টগ্রাম ফার্নিচার মেলা। গত চারদিনে মেলায় ১৬ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে। গত শুক্রবার ছুটির দিনে মেলায় প্রায় ১০ হাজার দর্শনার্থীর আসেন। বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে ১২তম চট্টগ্রাম ফার্নিচার মেলা শুরু হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। মেলা শেষ হবে আগামীকাল সোমবার। মেলায় ৩০ হাজার ক্রেতা ও দর্শনার্থীর আগমন হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা।
গতকাল শনিবার মেলা ঘুরে দেখা যায়, স্টলে স্টলে নানা রকমের ফার্নিচার দেখছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। মান ও দাম যাচাই করে পছন্দের ফার্নিচার ক্রয় করছেন। মেলায় অংশ নিচ্ছে মোট ২৭টি ফার্নিচার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সব ধররে পণ্যে মূল্যছাড় দেওয়ার কারণে মেলা থেকেই ফার্নিচার কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন ক্রেতারা। মেলায় প্রবেশ ফি কুপনের মাধ্যমে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
মেলা সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমে দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি। গত ৪ দিনের মেলায় প্রায় ১৬ হাজার দর্শনার্থীর আগমন হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার একদিনেই ১০ হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন। তারা আশা করছেন আগামী সোমবার শেষ দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে মলায় পণ্য বিক্রি তাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। তারা চান পণ্যের প্রচার।
বাংলাদেশ শিল্প ফার্নিচার মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাকছুদুর রহমান বলেন, আমাদের তৈরি আসবাবত্রগুলো দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। রুচিশীল ও সৌখিন মানুষের প্রথম পছন্দ আধুনিক ডিজাইনের আসবাবপত্র। অফিস ও ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে মানুষের আগ্রহ সবসময় আসবাবপত্রের নিত্যনতুন ও আধুনিক ডিজাইনের দিকে। প্রযুক্তির কল্যাণে আসবাবপত্রের নিত্যনতুন ডিজাইন এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। মানুষ এসব ডিজাইনগুলো দেশিয় প্রতিষ্ঠানে খুঁজে বেড়ায়। রুচিশীল মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির আওতাভুক্ত ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিকমানের আসবাবপত্র তৈরি করে থাকে। ফার্নিচার শিল্পের বিকাশে এ মেলার গুরুত্ব রয়েছে। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে ফার্নিচার শিল্পকে রফতানিমুখী শিল্পে পরিণত করাই এ মেলা আয়োজনের মূল লক্ষ্য।