‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড়’ শিরোনামে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে সভাপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, গত ১৭ মে ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকায় প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছনহরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। এ সময় আমার মত অনেক নেতাই তাদের বক্তব্যে মনোনয়নপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত সভায় ছনহরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কদের উপস্থিত না দেখে হতবাক ও ক্ষুব্ধ হন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও উক্ত ইউনিয়নের আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কদের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। একই ব্যক্তিরা আবার গত ১৭ মে উক্ত ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত না হওয়াটা দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মত আমাকেও বিস্মিত করে। যেহেতু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য দিয়েছেন সেক্ষেত্রে তাদের বক্তব্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক, যুগ্ম-আহবায়ক অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করায় উপস্থিত ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য ছিল দলের নেতাকর্মীদের পক্ষে। আমার বক্তব্যে উপস্থিত নেতাকর্মীরা কিছুটা আশান্বিত হয়।
এটা কোনো জনসম্মুখে অনুষ্ঠিত সভা ছিলো না। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভা ছিল। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, বর্তমান সহ-সভাপতি ও সভাপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ২০০৯ সালে দলীয় প্রতীক না থাকলেও আমি জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলাম। ২০১৪ সালে দল পুনরায় আমাকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেন (দলীয় প্রতীক ছিলো না) বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেন। সে সময়ও গুটি কয়েক ব্যক্তি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত না হওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেন। এরা কারা, তা পটিয়ার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানেন। বিজ্ঞপ্তি