ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
সচেতন মহলসহ দেশের আপামর জনগণ সম্যক অবগত আছেন, দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস ও অর্থনীতির প্রধান খাত পোশাক শিল্পে প্রায়শ বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ বা বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য কারখানায় হামলা-ভাংচুরসহ নানামুখী অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলার দৃশ্যাদৃশ্য অধিকমাত্রায় পরিলক্ষিত। করোনা অতিমারি, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার-জ্বালানি সংকটসহ উদ্ভূত সমস্যায় বিপর্যস্ত বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থায় এই খাত নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। সাম্প্রতিক সময়েও বেতন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোশাক শ্রমিকদের অব্যাহত অন্দোলন নতুন অজানা আতঙ্ক-আশঙ্কা তৈরি করছে। প্রতি ৫ বছর পর পর বেতন পুনঃনির্ধারণের যে বিধান রয়েছে সেটির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার মজুরি বোর্ড গঠন করলেও; সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন-জ্বালাও-পোড়াও ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্টদের মতে, পোশাক শিল্পে বিরাজিত চরম বিশৃঙ্খলা এই খাতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শ্রমিক অসন্তোষে গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় এবং কারখানার কাজ বন্ধ থাকায় অনেক কাজের অর্ডার বাতিল হওয়ার শঙ্কা নির্মিত হয়েছে। সঠিক সময়ে অর্ডার প্রদান করতে না পারলে ভবিষ্যতের অর্ডার নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি এ খাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে হ্রাসকৃত পোশাকের চাহিদা এই শিল্পে সঙ্কটকে আরো ঘনীভূত করবে। ফলশ্রুতিতে বহু গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে এসব ঘটনার নেপথ্যে কোনো অশুভ-অন্ধকারের অপশক্তি দেশে অরাজক পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নিজেদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যতিব্যস্ত কিনা তার সত্য-বস্তনিষ্ঠ বিশ্লেষণ অতীব জরুরি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাজ না করে আন্দোলন করলে বা কারখানা ভাঙচুর করলে ১৩ (১) ধারায় কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। কারখানা মালিকদের দাবি, শ্রমিক নেতারা এবং বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা এসব অস্থিরতায় ইন্ধন দিচ্ছে। তারা আরও বলেন, ‘যারা মারামারি করছে, কারখানা জ্বালিয়ে দিচ্ছে, তারা সবাই বহিরাগত। যারা দেশের অগ্রগতি চাই না তারাই এসব কাজ করছে। করোনায় ৩ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। সে জায়গা থেকে যখন ঘুরে দাঁড়াব তখন আবার সংকট। এই সময়টি অত্যন্ত সেনসেটিভ। সবাই চাচ্ছে এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে। আমরা সকলে একমত হয়েছি নো ওয়ার্ক নো পে। কোনো বায়ার যখন যথাসময়ে প্রোডাক্ট পাবে না সে তখন কোনো মার্সি করবে না।’ শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, গাজীপুর পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে ১২৩টি কারখানায় ভাঙচুর এবং এ ঘটনায় ২২ টি মামলা হয়েছে।
৮ নভেম্বর ২০২৩ ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’র ১৫তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বলেন, ‘বেতন বৃদ্ধির পরও যদি পোশাক কারখানায় আন্দোলন-সংগ্রাম ও অস্থিরতা চলতে থাকলে এ শিল্পের বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। তাদের গন্তব্যের কোনো অভাব নেই। আমরা যদি মনে করি বায়ারদের কোনো অপশন নেই, তারা এখানে কষ্ট করে হলেও থাকবে তা কিন্তু ঠিক না। যেভাবে তারা শ্রীলংকা থেকে মুখ ফিরিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা সেক্টরে বেতন ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি একটি ইতিহাস। তারপরও কিছু কিছু শ্রমিক নামধারী নেতা এটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা অশুভ রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় জড়িয়ে ফায়দা নিতে চাচ্ছে। আমাদের শ্রমিক ভাইরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, অত্যন্ত ভদ্র। এ দেশকে আসির দশক থেকে আজ পর্যন্ত নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আমরা অস্বীকার করি না।’ বিজিএমই’র নেতৃবৃন্দের মতানুসারে, পূর্ব থেকেই এ খাতের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলেছে। সেই সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেই গার্মেন্টস শিল্প দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্তমান তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। এ শিল্পে সুন্দর কর্মপরিবেশ বিরাজ করছে। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে কুচক্রী মহল তাদের অপতৎপরতা বাড়িয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এক দশকে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার নামে শতাধিক সংগঠন গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় ডজন রয়েছে ফেডারেশন। বেশির ভাগ সংগঠনের নিবন্ধও নেই। এসব সংগঠনের নেতাদের বেশিরভাগই গার্মেন্টস কারখানার সাথে সম্পৃক্তও নয়। এসব ব্যক্তি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের হয়ে কাজ করছে। তারাই মূলত শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে নিজেরা কদর্য উদ্দেশ্য চরিতার্থে ব্যতিব্যস্ত। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের চিহ্নিত নেতাদের অনেকেরই বিলাসবহুল জীবনযাপনের প্রবল জনশ্রæতি রয়েছে। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা এবং ডিসেম্বর থেকেই বর্ধিত বেতন কার্যকরণে সরকার-মালিক পক্ষ-শ্রমিক সকলে একমত পোষণ করার পরও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো এসব সহিংস ঘটনা না থামায় এসব তথাকথিত শ্রমিক নেতাদের কর্মকান্ড নিয়ে জনমনে প্রতিনিয়ত নানান প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে শ্রমিক-নেতা নামধারী ৩৬ জনের তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। তাদের মোবাইল ফোন রেকর্ডসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে যে, তারা বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি পুঁজি করে নানা উস্কানিতে শ্রমিকরা গার্মেন্টস শিল্পে জ্বালাওপোড়াও, ভাংচুর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আক্রমণ চালিয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, এসব নেতা গার্মেন্টসে চাকরি করে না, গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গেও জড়িত না। কিন্তু তারা স্বার্থান্বেষী মহলের আশীর্বাদপুষ্ট নেতা। তারা বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক সংগঠনের নামে কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকে। ঐ সব দেশ তাদের মতলব অনুযায়ী গার্মেন্টস শ্রমিকদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বিক্ষোভে নামার পর থেকে পুলিশ, মালিকপক্ষ এমনকি শিল্প মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গেও শ্রমিকদের কোনো কথা বলতে দিচ্ছে না এসব শ্রমিক নেতা। উল্টো গুজব ছড়িয়ে আন্দোলনকে উসকে দিচ্ছে শ্রমিক নামধারী ঐ চক্রটি। তারাই সুকৌশলে শ্রমিক অসন্তোষ লাগিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে টার্গেট করে তাদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পরও হামলার শিকার হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। ভাঙচুর চালানো হচ্ছে পোশাক কারখানাতেও। খাদ্যসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর জোরালো দাবি থাকলেও এ নিয়ে বড় ধরনের কোনো ক্ষোভ বা অসন্তোষ দৃশ্যমান নয়। তবে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ মহল দেশের পোশাক শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের নামে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অপচেষ্টা করছে। নির্বাচনের আগে এ নিয়ে এক ধরনের নৈরাজ্য তৈরি হলে তা বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সহজ হবে। এই টার্গেট নিয়েই ষড়যন্ত্রকারীরা মাঠে সক্রিয় রয়েছে। তাদের মূল মিশন নির্বাচন বানচাল করা। দেশের স্পর্শকাতর এই খাতের দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের ক্রেতাদের নজর থাকায় এই খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারলে অসাধু চক্রটি সহজে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বিশ্বময় করতে সক্ষম হবে বলে বিজ্ঞজনের ধারণা।
আমাদের সকলের জানা, সত্তর দশকের শেষার্ধ থেকে একটি রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়ন সাধিত হয়। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের (ওভেন শার্ট) প্রথম চালানটি রপ্তানি হয় ১৯৭৮ সালে। পরবর্তীতে বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় দ্রæততর সাথে এই শিল্প বিকশিত হয়। ১৯৮১-৮২ সালে মোট রপ্তানি আয়ে এই খাতের অবদান ছিল মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশ। আশির দশকের শেষ পর্যায়ে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের আয়কে পিছনে ফেলে পোশাক শিল্প রপ্তানি আয়ে প্রথম স্থানে অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রথমবারের মতো বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ১৯৯৯ সালে এই শিল্পখাতে সরাসরি কর্মসংস্থান হয় ১ দশমিক ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের যারমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলা। ১৯৮২ সালে দেশে পোশাক কারখানার সংখ্যা ৪৭টির বিপরীতে বর্তমানে তা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। প্রায় তিন যুগ ধরে পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাক শিল্প নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বে একক দেশ হিসেবে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ২০২০ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে আসলেও; এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ তা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়। ২০২২ সালে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ১২ মাসে ৩০টি তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়ায় এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৭টিতে। ব্যবসায়ীদের দাবি, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক আর কোনে দেশে এত পরিবেশবান্ধব কারখানা নেই। ৩ ফেব্রæয়ারি ২০২৩ গণমাধ্যমে প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদন মারফত জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক শিল্পখাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। পূর্বের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। উক্ত সময়ে তৈরি পোশাক খাতে নীটওয়্যার পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার এবং ওভেন পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক শিল্পের হাত ধরে দেশের অর্থনীতি অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বিশ্বস্বীকৃত বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন-কর্মসংস্থান-তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কর্মদক্ষতা বাড়িয়েছে এই পোশাক শিল্পখাত। সামগ্রিক গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নের অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বর্তমান সরকার আর্থিক প্রণোদনা, কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। পোশাকশিল্পসহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় সরকার শিল্প পুলিশ গঠন করেছে। শিল্প বিকাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পর্যুদস্ততার মধ্যেও দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার ভারসাম্য রক্ষার্থে বর্তমান সরকারের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ ও কার্যকর বাস্তবায়নে অর্থনীতির চাকাকে সচল করার গৃহীত সকল উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত। এর ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে দেশের আপামর জনগণের ঐক্যবদ্ধতায় সকল ধরনের নৈরাজ্য-বিশৃংখলা-ভাংচুর-জ্বালাও-পোড়াও থেকে অবশ্যই পোশাকশিল্পকে রক্ষা করতে হবে। শ্রমমূল্য নির্ধারণে যৌক্তিক আলাপ-আলোচনার বিকল্প নেই। অসংগত-অসংলগ্ন-অস্বাভাবিক মজুরি কাঠামোর দাবি সকল পক্ষের মেনে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ থাকতে হবে। লাভজনক না হলে সকল মালিকই পোশাক শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এতে করে সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার সমূহসম্ভাবনা তৈরি হবে। উপযুক্ত সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য অরাজকতা পরিহারে সরকার-উদ্যোক্তা-শ্রমিকদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশিত।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সমাজ-অপরাধবিজ্ঞানী, সাবেক উপাচার্য চ.বি