নিজস্ব প্রতিবেদক
গরু চুরির মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের চালানো অভিযানের মধ্যেই ওই আসামির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. নাসির উদ্দিন (৫৫)। পুলিশের দাবি, অভিযান চলাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে নগরীর বায়েজিদের পশ্চিম শহীদনগরের কসাই পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ফটিকছড়ি থানায় গরু চুরির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি ছিলেন নগরীর বায়েজিদের পশ্চিম শহীদ নগর এলাকার মৃত বজল আহমদের ছেলে। পেশায় তিনি মাংস বিক্রেতা। তাকে ধরতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল চারটি গাড়ি নিয়ে শুক্রবার (গতকাল) ভোররাতে তার বাড়িতে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ঘরের জানালা ভেঙে বাইরে পালিয়ে যান। এরপর বাড়ির পেছনে পুকুর থেকে মূমুর্ষু অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একইদিন বিকালে ফরেনসিক মর্গে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘নাসির ফটিকছড়ি থানায় দায়ের হওয়া গরু চুরির মামলার আসামি। আদালতে অন্য আসামির দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম রয়েছে। ফটিকছড়ি থানা পুলিশের অনুরোধে জেলা ডিবির দল নাসিরের বাড়িতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর সাহায্যের জন্য চিৎকার করে তার সহযোগীদের ডাকতে থাকেন। এসময় তার লোকজন পুলিশের ওপর ঢিল ছোড়ে। ঘটনার সময় তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘরের মধ্যেই মারা যান।
তবে পুলিশের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘরের ভেতর থেকে নয়। পাশের পুকুর থেকে নাসিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস জাহান বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্সে ওই ব্যক্তির মরদেহ পেয়েছি। তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে মৃত অবস্থায়। ঘটনা সম্পর্কে জানার পর তার বাড়ি পরিদর্শন করে ঘরের জানালা ভাঙা দেখা গেছে। কিন্তু জানালা কীভাবে ভেঙেছে বা সেটি আগে থেকে ভাঙা ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। একইভাবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিয়েও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে দেখার পর এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।