পুরস্কারের চেয়ে ভালোবাসা পাওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ: চঞ্চল

3

 

সময়টা ভালোই যাচ্ছে নন্দিত অভিনেতা চঞ্চলচৌধুরীর। একের পর এক প্রাপ্তি যুক্ত হচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারে। তৃতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন এ অভিনেতা। এ খুশির খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই তিনি উড়াল দিলেন লন্ডনে। সেখানে ছিল তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘পদাতিক’-এর প্রথম প্রদর্শনী। এ অভিনেতার সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন সেখানেই অবস্থান করছিলেন। নানাব্যস্ততায় কাটছিল তাঁর সময়। এর আগে দুইবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এবারের অর্জনকে কি আলাদা মনে হয়েছে? এমন প্রশ্নে চঞ্চলের উত্তর,“প্রথম সবকিছু তুলনাহীন।
প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে একটুবেশি খুশি হয়েছিলাম। তখনবাবাবেঁচে ছিলেন। পুত্রের এ প্রাপ্তিতে হয়েছিলেন ভীষণ খুশি। তাঁর চোখেমুখে ছিল হাসির ঝিলিক। দেখুন,যে কোনো পুরস্কার পেলেই ভালো লাগে; কাজের স্বীকৃতি। দ্বিতীয়বার প্রাপ্তিও ক্যারিয়ারে নতুন পালক যুক্ত করেছে। ‘আয়নাবাজি’ দর্শকের কাছে আমাকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। আর পরপর তিনবার পুরস্কার প্রাপ্তির আনন্দই আলাদা। ‘হাওয়া’ পুরস্কারের আগে আমি সিনেমাটি দিয়ে দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমার কাছে পুরস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছ থেকেও প্রশংসা এসেছে। ‘মনে পড়ে, গভীর সমুদ্রে প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করতে হয়েছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের হ্যাটট্রিক! এ পুরস্কার আমার জীবনে বিশেষ অর্জন। সবার কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চাই। আগামীতে যেন আরও ভালো কিছু কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হতে পারি।’ দেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও অভিনয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী। বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনকে নিয়ে‘পদাতিক’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সিনেমার প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে চঞ্চল গত ২ নভেম্বর লন্ডনের ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাজির হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন নির্মাতা সৃজিতও। প্রথমবার প্রদর্শিত হয়েছে সিনেমাটি।