পাঠকের কথা

22

অনুপ্রেরণা

মো. তৌহিদুল হক

জীবন যুদ্ধে বিতর্ক সমালোচনা থাকবেই। আর সেই জন্য পিছ পা হওয়ার কোন দরকার নেই। একটা সময় আমরা পরিবার এর মধ্যে থেকে নিজের ব্যক্তিগত ভবিষ্যত জীবন নিয়ে অনেক কিছু কল্পনা করে ফেলতাম।
এত সুন্দর জীবন হবে, গাড়ি বাড়ী হবে, হাতভর্তি টাকা থাকবে ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তব জীবনে যদি আমরা একটু বাস্তবতার সম্মুখীন হয় তাহলে বুঝা যায় জীবন কতটা সংগ্রামের বা ত্যাগের।
আর এই ত্যাগ বা সংগ্রাম এর মধ্যে দিয়ে ধাপে ধাপে পার হয়ে যায় আমাদের সেই অনাকাক্সিক্ষত বাস্তবতার পরিস্থিতি। আমরা আমাদের জীবনকে নিয়ে একান্তভাবে চিন্তা করলে দেখতে পাই ব্যক্তিগত জীবনে যতই সমস্যা আসুক নিজের পাশে কেবল নিজেকে পাওয়া যায়।আর সামজিক দিক দিয়ে আরো গভীরে গেলে দেখি সমাজ আমাদের কখনো সাফল্যের মাইলস্টোন স্পর্শ করতে সহযোগী করে না বরং সমালোচনা করে কোনো কিছু একটু ভুল থাকলে।
জীবনে যতই সমস্যা আসুক না কেন নিজের পাশে নিজেকে অটল রাখা জরুরি।
কারণ জীবন সমাজের নয়, জীবন একান্ত নিজের।
আমরা যখন পরিবার এর গÐিপেরিয়ে বাইরে বের হয় তখন পরিবার এর পাশাপাশি বাইরের মানুষের সাথে ও আমাদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সম্পর্ক কেবল রক্ত দিয়ে হয় না আত্মা দিয়েও হয়।
এই মহাবিশ্বের দুর্গপ্রাচীর ভেদ করলে রক্তের চেয়ে আত্মীকরণের ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই বলে আমাদের জীবনে রক্তের অবদান কম সেটা নয়।ব্যক্তিগত জীবনে যখন ঝুঁকি নিতে আমরা বাইরে বের হয় তখন পরনির্ভরশীল মানুষটিও স্বনির্ভর হয়।
এটাই তো সফলতা!
কেননা আমাদের সবসময় মনে রাখা দরকার নিজের জন্য নিজেই অনেক কিছু,জীবনে অনেকে আসবে যাবে নিজেকে কখনো ছেড়ে চলে যাওয়া যাবে না।
যখন আমরা হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হয় তখন নিজেকে নিজে সান্ত¡না দেওয়া,ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং নিজের লক্ষ্য পূরণে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সব কেবল নিজেকেই করতে হয়। মানুষ কেবল তীর্যক সমালোচনা করে,গঠন মূলক সমালোচনা কখনো করে না। তাই নিজের জন্য নিজেকে অনুপ্রেরণা এর একাংশ হওয়া উচিত। ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা আসবে তাই বলে থমকে যাওয়া যাবে না। অপ্রতিরোধ্য সংকটে, সংগ্রামে নিজেকে সর্মথন করে ব্যক্তিগত সাফল্যের মাইলস্টোন এর রুপ রেখা রচনা করতে কেবল নিজের জন্য নিজেকে দরকার।

 

স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের
যত্নবান হওয়া প্রয়োজন

অভিরাজ নাথ

শরীর ভাল না থাকলে মন ভাল থাকে না এবং মন ভাল না থাকলে প্রকৃত সুখ-শান্তি পাওয়া যায় না। শারীরিক সুস্থতার নামই স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য এক অমূল্য সম্পদ। ভগ্ন বা রুগ্ন শরীর যার, তার পক্ষে সুখ ও সন্তোষ লাভ করা অসম্ভব। শরীরের সঙ্গে মনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। সুস্থ দেহে সুন্দর মন। সুন্দর ও উৎফুল্ল মনেই সুখ বিরাজ করে। শরীর ভাল না থাকিলে মন-মেজাজ ঠিক থাকে না, কাজ কর্মে সৎসাহস- উদ্দিপনা থাকে না। মনোযোগ ও আগ্রহ না থাকলে কোন কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধা করা যায় না। অথচ সুখ লাভের জন্য কর্মে সাফল্য লাভ একান্ত আবশ্যক। অপরের সঙ্গে ভাল আচরণ করা এবং সমাজ-সংসারের নিজ দায়িত্ব পালন করা মানুষের কর্তব্য। যাদের শরীর রোগাক্রান্ত বা দুর্বল তাদের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন সম্ভব হয় না। তাদের মেজাজ খিট্- খিটে থাকে এবং তারা সব কিছুতে বিরক্তি বোধ করে। সর্বদা মন- মরা হয়ে বিষন্ন বেদনায় কাটায়। তাদের মনে আনন্দ-উল্লাসের সঞ্চার ঘটে না। বিশ্বের অপার আনন্দ-উপকরণ তাদের প্রভাবিত করতে পারে না। অসুস্থ ব্যক্তি আলাপে আনন্দ পায় না, আহারেও আনন্দ পায় না। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম, পরিমিত পুষ্টিকর আহার, সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা। সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করার জন্য প্রচুর লেখা-পড়া করা ও ভাল কাজ করা একান্ত দরকার। স্বাস্থ্য ভাল থাকলেই আমরা তা করতে সক্ষম হবো। প্রকৃত আনন্দ ও সুখ-সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য নিজ নিজ স্বাস্থ্য রক্ষায় যতœবান হওয়া আমাদের উচিৎ।

 

 

অশোভনীয় ইংরেজি
মিশ্রিত বাংলা ভাষা

আলতাফ হোসেন হৃদয় খান

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি, আমি কি বুলিতে পারি’। এ গানের মাধ্যমে প্রতি বছর নতুনভাবে জানান দেয় ফেব্রæয়ারির মহান ভাষা দিবসের কথা। নানা শ্রেণি পেশার মানুষের তাজা রক্তের বিনিময়ে নিজ মাতৃভাষা বাংলা ভাষা রক্ষা করেন ভাষা সৈনিকেরা। রক্তে অর্জিত ভাষা আন্দোলনের এত বছর পর এখন অনেকেই নিজ মাতৃভাষার সম্মান রাখতে পারছি না! দুঃখের বিষয় বর্তমানে সকলে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস ও ভাষা শহীদের ফুলেল শ্রদ্ধায় শিক্ত করলেও নিজ মাতৃভাষা বাংলা ভাষা বিকৃতি নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে আমাদের। আমরা প্রায় কথোপকথনের সময় ইংরেজিকে মিশিয়ে বাংলা বলি এবং নানা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে একক ভাবে শুধুমাত্র ইংরেজি অক্ষরে থাকে, বাংলা ভাষার ছিটেফুটোও থাকে না। যা খুবই দুঃখজনক। সরকারি-বেসরকারি, শিল্প-কারখানা ও নানা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা থাকাটা বাধ্যতামূলক করা দরকার। ভাষা শহীদের সম্মান ও বাংলা ভাষার মান রক্ষার্থে শিক্ষালয়ে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের এ বিষয়ে সতর্ক অবলম্বন করা নেহাত জরুরি।