আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। মূল্যস্ফীতি ও বিদ্যুতের দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় দেশজুড়ে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি নাভিশ্বাসে ঠেকেছে সাধারণ মানুষের। যৌক্তিক কারণ না দেখিয়ে কয়েক দফা বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোয় সাধারণ মানুষের জন্য যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন অনেকে। বিক্ষোভে বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল কমানোর বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকার। তিনি বলেছেন, ‘এটি কমানোর কোনও সুযোগ নেই।’ কাকার বলেন, ‘বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে এবং আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।’ শনিবার সাধারণ লোকজনের পাশপাশি ব্যবসায়ীরাও আন্দোলনে অংশ নেন। তারা দোকানপাট বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান। এদিন করাচি ও পেশোয়ারসহ অনেক জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সড়কে যান চলাচলে বাধা দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তি পড়েন যাত্রীরা। মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে ধর্মঘটেরও ঘোষণা করেছে পাঞ্জাব বার কাউন্সিল। আইনজীবীরাও আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। এদিকে জ্বালানি তেলের দামও বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নতুন মূল্য ঘোষিত হয়। এতে পেট্রোল ও ডিজেলের লিটার প্রতি দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৯১ রুপি ও ১৮ দশমিক ৪৪ রুপি। এছাড়া পেট্রোলিয়াম শুল্ক প্রতি লিটারে ৫ রুপি বেড়েছে। আগের ৫৫ রুপির বদলে এখন দিতে হবে ৬০ রুপি।