পূর্বদেশ ডেস্ক
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ সদস্যের পরিচয় মিলেছে; তিনি দুই বছর আগে বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়েছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম বেনেট থাং ম্রো (১৮); তিনি সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারন পাড়ার বাসিন্দা লিপমাং ম্রোর ছেলে।
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে গোলাগুলিতে নিহত হন বেনেট থাং। গত রবিবার দুপুরে মুননুয়াম পাড়ার রাস্তার পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দুপুরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। ছেলের লাশ গ্রহণ করেন বাবা লিপমাং ম্রো।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই বছর আগে মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় বেনেট। এরপর থেকে পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না’।
লিপমাং ম্রো জানতেন না ছেলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টে (কেএনএফ) যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রবিবার নাকি কেএনএফ ফেসবুক পেইজে বেনেটের ছবি প্রকাশ করে। পরে লোকজন আমাকে জানায়। তারপর হাসপাতালে এসে ছেলেকে শনাক্ত করি’।
লিপমাং ম্রোর পরিবার একসময় রুমা উপজেলার সুংসং পাড়ায় ছিল। সেখানে থাকা অবস্থাতেই লাল বিয়াক জিং বমকে বিয়ে করেন তিনি। পরে পরিবারটি সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারন পাড়ায় আসে। এখানে তারা ১১ বছর ধরে বসবাস করছেন। এই দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বেনেট দ্বিতীয় সন্তান ছিল।
লিপমাং ম্রো বলেন, ছেলে কাদের সঙ্গে মিশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছিল তা তিনি জানতে পারেননি। দুই বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পরও থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেননি তিনি।
এ ছাড়া ছেলে নিহতের ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন না বলে জানান বাবা লিপমাং ম্রো।
মরদেহ গ্রহণ করতে আসা শ্যারনপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘বেনেট থাং ম্রো দুই বছর আগে বান্দরবান শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। গত দুই বছর তার কোনো খোঁজ-খবর ছিল না’। খবর বিডিনিউজের
রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গোলাগুলিতে নিহত বেনেট থাং ম্রোর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা মরদেহ নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন’।