দুর্যোগে নৌবাহিনী সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে

24


তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রয়োজনে একটি আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। সেই মহান প্রত্যয়ের আলোকেই বর্তমানে নৌবাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজসমূহের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাস্তবমূখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সমুদ্রসীমার স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই ত্রিমাত্রিক সক্ষমতাকে যথার্থভাবে কাজে লাগানোর জন্য নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানাই।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রথমবারের মত আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২ ( জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে সমুজ্জ্বল করেছে।
মিডশিপম্যান হিসেবে কমিশন পাওয়া নৌবাহিনীর ৪৩ তরুণ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানান সরকারপ্রধান। দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে নির্দেশ দেন তিনি।
প্রিয় নবীন অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আপনারাই আমাদের নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ কান্ডারি। সততা, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগে বলীয়ান হয়ে সেনা ও বিমান বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
যুদ্ধের ক্ষেত্রে দেশের অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না, আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলব। তবে আমরা একটি স্বাধীন দেশ। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে। যদি কখনও খোদা না করুক, বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়, তাহলে যেন আমরা তা প্রতিহত করতে পারি। আর যে কোনো যুদ্ধে যেন জয়ী হতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নবীন কর্মকর্তারা নেভাল একাডেমি থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। তিনি পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেয়ায় নবীন কর্মকর্তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। নবীন কর্মকর্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল তাঁকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সনোবাহনিী প্রধান জনোরলে এস এম শফউিদ্দনি আহমদে, এসবপিি (বার), ওএসপি, এনডইিউ, পএিসসি, পএিইচডি ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি, সংসদ সদস্যবৃন্দ, নৌ সদর দপ্তরের পিএসওগণ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডারগণসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নৌ কমান্ডোসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক এবং শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের অভিভাবকগণ উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।