হাটহাজারী প্রতিনিধি
লক্ষাধিক টাকার লোভনীয় প্রস্তাব অগ্রাহ্য করতে পারেনি পাষন্ড পিতা। কেউ বলছে জুয়ার টাকার জন্য, আবার কেউ বলছে অভাবের তাড়নায় দেড় মাসের পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জন্মদাতা পাষÐ পিতার বিরুদ্ধে। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পিতা পলাতক রয়েছে।
হাটহাজারী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে মদিনা আবাসিকের সামনে একটি কলোনিতে গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে শিশুটির পিতা তার সন্তানকে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে মেডিকেল গেট এলাকায় এক মহিলার কাছে বিক্রি করে দেয়।
উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত পাষন্ড পিতার নাম মো. হুমায়ুন। পেশায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তবে সে পৌরসভা এলাকার আলীপুর গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে মদিনা আবাসিকের সামনে একটি কলোনিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। তার দেড় মাস বয়সী সন্তানটির নাম মো. মাসুম। শিশু মাসুম তার দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র পুত্র সন্তান বলে জানা গেছে।
এদিকে, ঘটনার পর সন্তানকে ফিরে পেতে বুকফাটা আর্তনাদে ফেটে পড়েন ছেলের মা মর্জিনা বেগম (৩২)। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আমার দেড় মাস বয়সী সন্তানকে আমার স্বামী ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এর আগেও তিনি তার আরেক বউয়ের শিশু সন্তানকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আমার কলিজার ধনকে ফিরে পেয়েছি।’
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘আপন জন্মদাতা পিতা তার সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক। বিষয়টি নিয়ে অনেক কাজ করেছি। অবশেষে বাচ্চাটি তার মায়ের কোল ফিরে যাওয়ায় আমরা আনন্দিত।’