জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ক্রিকেট কমপ্লেক্স উদ্বোধন আজ

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আধুনিক মানের ঝিনুক আকৃতির ক্রিকেট কমপ্লেক্স করে দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্সটিতে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার সসম্বয় ঘটানো হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১২টায় এই ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের পরই এটি বিসিবির কাছে হস্তান্তর করে দিবে সিডিএ।
সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের ফিডার রোড-৩ এর কাজ করতে গিয়ে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের একটি ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্স ভেঙে ফেলতে হয়। একে তো ক্রিকেট কমপ্লেক্ষটি পুরনো ও নাজুক অবস্থায় ছিল, তার ওপর ফিডার রোডের অ্যালাইনমেন্ট পড়েছিল কমপ্লেকটি বরাবর। এটি না ভাঙলে রাস্তার অ্যালাইমেন্ট পরিবর্তন করতে হতো। এই অবস্থায় পুরনো ইনডোরটি ভেঙে রাস্তা নির্মাণ এবং নতুন করে একটি ইনডোর নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে করে রাস্তা নির্মাণের জন্য উক্ত ইনডোরটি ভেঙে ফেলা হয়। ইনডোরের জায়গাটিও সড়কের জন্য ব্যবহার করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড উক্ত জায়গার জন্য সিডিএ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ নেয়নি। এই দায়বোধ থেকে সিডিএ প্রকল্পের টাকা থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় করে ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করে দিয়েছে। ইনডোর প্র্যাকটিসের জন্য যত সুযোগ-সুবিধা দরকার তার সবই যুক্ত করা হয়েছে বিশ্বমানের এই ইনডোরে।
ঝিনুক আকৃতির স্টিল স্ট্রাকচারে করা হয়েছে কমপ্লেক্সটি। ইনডোর প্র্যাকটিসের জন্য ক্রিকেট পিচ আমদানি করা হয়েছে বিদেশ থেকে। স্টিল স্ট্রাকচারের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার পাশাপাশি ভিতরেও ক্রিকেটারদের যা যা প্রয়োজন তার সবই সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আজ উদ্বোধনের পর কমপ্লেক্সটি বিসিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের ফিডার রোড-৩ এর কাজ করতে গিয়ে পুরাতন কমপ্লেক্সের কিছু অংশ ভাঙা পড়েছিল। আমরা সেজন্য আধুনিক একটি ইনডোর ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ে দিয়েছি। দৃষ্টিনন্দন এই কমপ্লেক্সটি উদ্বোধনের পরই বিসিবির কাছে হস্তান্তর করে দেয়া হবে। বিসিবি এটির ব্যবহারসহ পরবর্তী বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। ইনডোর কমপ্লেক্সটিকে একটি আইকনিক স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে। দেশে আর কোথাও এত সমৃদ্ধ এবং নান্দনিক ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্স নেই।
সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভ্যানুর সাথে একটি ইনডোর কমপ্লেক্স বাধ্যতামূলক। সেই হিসাবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২০০৪ সালে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম নির্মাণ করার সময়ই ওখানে ইনডোর নির্মাণ করেছিল। সাগর পাড়ের আউটার রিং রোড প্রকল্পের সাথে শহরের যোগাযোগ সহজ করতে তিনটি ফিডার রোড যুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩ নম্বর ফিডার রোডটি সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে নগরীর পোর্ট কানেক্টিং রোডের সাথে যুক্ত হয়েছে। জাপান এবং বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির অংশ হিসেবে ইনডোর কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্প্যাক্টা ইন্টারন্যাশনাল।
স্টেডিয়ামের তিন নম্বর গেটের পাশে গড়ে তোলা ইনডোরটি জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মান এবং সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আজ শনিবার বেলা ১২টায় এই ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হবে। পূর্তসচিব কাজী ওয়াসিউদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
অত্যন্ত নান্দনিক ডিজাইনের ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্সে ক্রিকেটারদের ইনডোর প্র্যাকটিজের পিচ, নেট, চেঞ্জিং রুম, গোসলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রয়োজন মিটানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।