আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মালদ্বীপে প্রভাব বিস্তারে চীন বা ভারতের মধ্যে কে জয়ী হবে তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যটনের জন্য বিখ্যাত দেশটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ৫ লাখ ২১ হাজার জনসংখ্যার দেশটিতে এশিয়ার দুই প্রভাবশালী রাষ্ট্র চীন ও ভারত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। উভয় দেশ নিজের সুনাম ও প্রভাব বজায় রাখতে চায়। দেশটির ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ বড় প্রতিবেশী ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। তিনি ভারত প্রথম নীতি গ্রহণ করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি সামান্য এগিয়ে রয়েছেন।
প্রধান বিরোধী জোটের নেতৃত্বে থাকা মোহাম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে চীনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ভারত বিদায় কর্মসূচি নিয়ে প্রচার করছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটি থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী উপস্থিতির অবসান ঘটাবেন। মালদ্বীপে ভারতে কয়েকটি নজরদারি উড়োজাহাজ ও প্রায় ৭৫ জন সেনা রয়েছে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মানবাধিকার আইনজীবী আহমেদ শহিদ বলেছেন, দুই বড় শক্তির প্রতিদ্ব›িদ্বতা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলবে না। দেশে ভোটারদের কাছে ভারত-চীন ইস্যুকে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হচ্ছে না।
যদিও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের কাছে তা বড় উদ্বেগের। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে এবারের বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঋণ ব্যবস্থাপনা। ২০২২ সালের শেষ দিকে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে, মালদ্বীপের ঋণের পরিমাণ দেশটির মোট জিডিপির ১১৩ শতাংশ। শহিদ বলেন, এটি এমন কোনও নির্বাচন নয় যা প্রচারেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বরং এবার প্রতিশ্রুতিতে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। গত মাসে বানি সেন্টার থিংক ট্যাংকের প্রকাশিত একটি জরিপের ফল অনুসারে, ২১ শতাংশ সোলিহকে সমর্থন করছেন। মুইজ্জুকে সমর্থন করছেন ১৪ শতাংশ। এই জরিপ মাত্র ৩৮৪ জনের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপে উঠে এসেছে, ৫৩ শতাংশ মানুষ এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। ২০১৮ সালে যৌথ বিরোধী প্রার্থী হিসেবে বড় ব্যবধানে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন সোলিহ। ২০২১ সালে রাজধানী মালের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়ে সবাইকে অবাক করে দেন। ওই সময় রাজধানীকে সোলিহ-এর মালদিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে মনে করা হতো। মুইজ্জু প্রোগ্রেসিভ পার্টি ও পিপল’স ন্যাশনাল কংগ্রেসের জোটের প্রতিনিধি।