নিজস্ব প্রতিবেদক
তিনদিনে চট্টগ্রাম নগর ও উপজেলায় কোভিড-১৯ টিকার ৪র্থ ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ২৮৬ জন মানুষ। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৩৫ জন পুরুষ এবং ৮৫১ জন নারী। এতো কম সংখ্যক টিকা গ্রহণের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ৪র্থ ডোজ কারা পাবেন তা নির্ধারণ করে দেয়ায় টিকা গ্রহণের সংখ্যা কম। সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিলে এর পরিমাণ বেড়ে যাবে। টিকা গ্রহণের পরিসংখ্যানগত উপরোক্ত তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের ৪র্থ ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৭৫ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ৩০০ জন এবং উপজেলায় ২৮৫ জন। এই পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ২৮৬ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ১ হাজার ৫২৯ জন এবং উপজেলায় ৭৫৭ জন। ৪র্থ ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরুর প্রথমদিন গত মঙ্গলবার ১৫ উপজেলায় টিকা নিয়েছিল ১০২ জন এবং মহানগরের ২৬৮ জন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তুলনামূলকভাবে অন্যান্যবারের এবারের টিকা কার্যক্রমে মানুষের সাড়া কম মিলছে। মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়। ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধা, অসুস্থ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিকভাবে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এটাকে করোনার টিকার দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নামেও অভিহিত করা হচ্ছে। ১৫টি উপজেলায় ১৫টি স্থায়ী কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নগরীর ১১টি পয়েন্ট চসিক পরিচালিত জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল, ছাপা মোতালেক হাসপাতাল, বন্দর টিলা হাসপাতাল, সিএমএইচ, বন্দর হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল, কাট্টলী মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নগরীতে ১ম ডোজ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ, ২য় ডোজ ২৮ লাখ, ৩য় ডোজ ১৮ লাখ, এবং ৪র্থ ডোজ প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ কমসংখ্যক মানুষের জন্য। কোভিড যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। তাই এটা বেশি লোকের সাড়া দেওয়ার প্রয়োজনও নেই। টিকা কার্ড নিয়ে গিয়ে এই ক্যাটাগরির যে কেউ স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দিতে পারবেন।