শামসুদ্দীন শিশির
প্রতিপাদ্য :
পৃথিবীতে এমন কোন রাষ্ট্র খুঁজে পাওয়া কষ্টকর যেখানে কেবল একটি সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীই বসবাস করছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশে বসবাসরত বৃহত্তর জাতি গোষ্ঠীর পাসাপাশি অর্ধশতাধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বাস। দেশের বিভিন্ন জেলায় এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর লোকেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে রয়েছে চাক্মা, মুরং, মারমা, চাক, খুমী, খ্যাং, বম, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যাঁ, পাংখুয়া এবং লুসাই। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে রয়েছে খাসিয়া, মনিপুরী, সাঁওতাল, ত্রিপুরা, কুকি, পাঙন (মুসলিম), মুন্ডা এবং পাত্র স¤প্রদায়। বৃহত্তর ময়মনসিংহে রয়েছে গারো, হাজং, কোচ, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে রয়েছে ওরাও, রাজবংশী, পালিয়া, মাহাতো, কোল, হদি, মুন্ডা, পটুয়াখালী ও কক্সবাজারে রয়েছে রাখাইন উপজাতি।১ এখানে ‘খুমী’ জনগোষ্ঠীর সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধারার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এক-দশমাংশ এলাকা জুড়ে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ক্ষুদ্রজাতিসত্তা রয়েছে তার মধ্যে ‘খুমী’ জাতিসত্তা একটি। জনসংখ্যায় খুমীরা অন্যান্য আদিবাসীর তুলনায় কম হলেও তাদেরও রয়েছে নিজস্ব ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সামাজিক প্রথা ও রীতিনীতি যা অন্য নৃ-গোষ্ঠীদের থেকে ভিন্ন।২ ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে খুমী জনগোষ্ঠী মঙ্গোলীয় বংশোভূত। ডবিøউ, ডবিøউ, হান্টারের বর্ণনানুযায়ী এরা সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ পর্যায়ে অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ন্যায় পার্বত্য অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে।৩ পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায়- রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এই তিন উপজেলায় খুমীরা বসবাস করে। তারা শহর থেকে অনেক দূরে উঁচু পাহাড়ে সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করে। নিম্নে উপজেলা ভিত্তিক মৌজা ও গ্রামের তথ্য উল্লেখ করা হল-
থানচি ৩৭৩ নং প্রকয়া মৌজা, ৩৫৯ নং সেকাদু মৌজা, ৩৬৯ নং সিংপা মৌজা, ৩৮৫ নং রাইখ্যাং মৌজা, ৩৬৭ নং তিন্দু মৌজা =২১ টি গ্রাম, রুমা ৩৫৮ নং রুমা মৌজা, ৩৭২ নং নাইতিং মৌজা, ৩৫৩ নং কৌলদি মৌজা, ৩৮৪ নং রোমক্রী মৌজা = ১১টি গ্রাম, রোয়াং ছড়ি ৩১৭ নং ক্যছালং মৌজা, ৩১৬ নং বেতছড়া মৌজা = ৪টি গ্রাম।
বান্দরবান জেলায় ১১টি মৌজায় মোট ৩৬টি গ্রামে খুমীদের বসবাস। মোট জনসংখ্যার এক-দ্বিতীয়াংশ খুমী থানচি উপজেলায় বসবাস করে।
প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) : সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চট্টগ্রাম।
৩) জনসংখ্যা :
সরকারি আদম শুমারী অনুযায়ী খুমীদের জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে-
১৯৩১ সালে ১৫৪৯ জন, ১৯৫১ সালে ১৯৫১ জন, ১৯৮১ সালে ১০৫৪ জন, ১৯৯১ সালে ১২৪১ জন, ২০০৪ সালে ১৭৩৪ জন (অপ্রকাশিত তথ্য)
এই জরিপ অনুযায়ী খুমীদের জনসংখ্যা ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে কমে গিয়েছে ৭১০ জন। তবে ২০০৬ সালে সিঅং খুমী (একজন খুমী সাংস্কৃতিক কর্মী) এর নেতৃত্বে এক জরিপ পরিচালনা করা হয়েছিল। সেই জরিপে খুমীদের জনসংখ্যা পাওয়া গেছে ২০৯৪ জন।৫
বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে বান্দরবান জেলার রোয়াং ছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলা ছাড়া আর কোন জেলা বা উপজেলায় খুমীরা বসবাস করেনা। তবে বাংলাদেশের বাইরে বার্মার চীন প্রদেশে (ঈযরহ ঐরষষং আরাকান রাজ্যের অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল) পালেটওয়া (চধষবঃধি) অঞ্চলে এক লক্ষের বেশি খুমী বসবাস করে বলে জানা যায় এবং ভারতের মিজোরাম অঙ্গঁরাজ্যেও প্রায় ৩,০০০ (তিন হাজার) জন খুমী বসবাস করে বলে অনুমান করা হয়। খুমীরা চাষাবাদে সুবিধার্থে কিংবা জায়গা জমি স্বল্পতার কারণে একপাড়া থেকে অন্য পাড়ায় স্থানান্তর হলেও তাদের মধ্যে শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা এখনো তেমন একটা দেখা যায়নি।৬
৪) ঐতিহাসিক পটভূমি :
বাংলাদেশের খুমী নৃ-গোষ্ঠীর আগমন হলো বার্মার চীন প্রদেশ থেকে। এই চীন হিলস প্রদেশ ১২ ফেব্রæয়ারি ১৯৪৭ সালে আরাকান প্রদেশ থেকে আলাদা হয়ে নামকরণ করা হয় চীন হিলস্। এই চীন হিলস্-এ কোলাডাইন নদীর পাশে পালেটওয়া অঞ্চলে এখনও অনেক খুমী বসবাস করে। খুমী আদিবাসীর সামথাং গোত্রের পূর্ব পুরুষদের মৌখিক (অলিখিত) ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, খুমীরা বাংলাদেশে আট পুরুষ (বংশধর) ধরে বসবাস করছে। এই আট পুরুষ বংশধরদের নামের তালিকা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলোঃ
কেচেং ১ম পুরুষ, পাইখেং ২য় পুরুষ, পেলেং ৩য় পুরুষ, থাংনয় ৪র্থ পুরুষ, লেংওয়াই ৫ম পুরুষ, খুলেং ৬ষ্ঠ পুরুষ, হয়কিং ৭ম পুরুষ, লেলুং ৮ম পুরুষ।৭
১) খুমী শব্দের অর্থ ও এর উৎপত্তি :
খুমী শব্দটিকে বিভিন্ন লেখক বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন খুমী শব্দটি এসেছে খামি থেকে যার অর্থ সর্বোৎকৃষ্ট, গোত্র বা জাতি। স্থানিক ভাষায় ‘খা’ অর্থ মানুষ এবং ‘মি’ অর্থ সর্বোৎকৃষ্ট। আরকানিরা খুমিদের বলে খোমি, যার অর্থ হলো সারমেয় জাতি।৮ এটি একটি প্রকৃত খুমী শব্দ। যার আক্ষরিক অর্থ হলো ‘গভীর জঙ্গলের মানুষ (ঐঁসধহ নবরহম ড়ভ ফববঢ় ভড়ৎবংঃ)’। ‘খুমী’ শব্দের ‘খু’ শব্দাংশ অর্থ হলো ‘গভীর জঙ্গল’ এবং ‘মী’ শব্দাংশ অর্থ ‘মানুষ’ বা ‘জীব’। সুতরাং এই শব্দের পূর্ণাঙ্গঁ অর্থ দাঁড়ায় ‘গভীর জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষ’। তারা সাধারণত উঁচু পাহাড়ে গভীর বন-জঙ্গলে বসবাস করতে পছন্দ করে। ‘খুমী’ শব্দের এই আক্ষরিক বিশ্লেষণের সাথে তাদের জীবন যাত্রার মিল খুঁজে পায় বলে খুমীরা এই বিশ্লেষণকে সঠিক মনে করে।৯
৫) সামাজিক সংগঠন :
৫.১ গোত্র ঃ খুমীরা প্রধানত দু’টি দলে বা গোত্রে বিভক্ত। একটি হলো আওয়া-খুমী অপরটি আহরাছ খুমী।১০ একটির অর্থ নদী মুখের বাসিন্দা, অপরটির অর্থ নদীর উৎস মুখের বাসিন্দা। সামাজিক অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফুর্তভাবে সকলেই অংশ গ্রহণ করে থাকেন।১১ আবার একই গোত্রের মধ্যেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বা উপগোত্র রয়েছে। গোত্র ভেদে সামাজিক বিধি নিষেদ যুগ যুগ ধরে খুমী সমাজে প্রচলিত আছে। যেমন- অনেকেই বিভিন্ন রকম পশু-পাখির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। খুমী সমাজে ৫০টির বেশী উপগোত্র রয়েছে। বাংলাদেশে ১৪ থেকে ১৫টি বেশী উপগোত্রের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে এদের মধ্যে-
১। সামথাং ২। সিকবে উ ৩। উমসিং ৪। লামওচে ৫। অমসাং ৬। খইসেই ৭। ক্রিমসাং এবং ৮। লিমলাউ, একটু বেশি চোখে পড়ে।১২
৫.২ পরিবারের ধরণ : খুমীরা গোত্রগতভাবে পিতৃতান্ত্রিক পরিবারভুক্ত। এ সমাজের বংশ ধারায় লোকজন পিতৃ-সূত্রানুযায়ী তাদের পরিচয় প্রদান করে। শুধু তাই নয়, খুমী সমাজে পিতার কর্তৃত্ব বেশি। তাদের সমাজে বিভিন্নধরনের পরিবার লক্ষ করা যায়। অতীতে খুমী সমাজে বর্ধিত পরিবার ব্যবস্থা থাকলেও আজকাল একক ও যৌথ পরিবার ব্যবস্থা বেশী দেখা যায়। এখানে স্পষ্ট যে, জ্যেষ্ঠ পুত্রই পিতার পরে সংসারের উত্তরাধিকারী ও সম্পত্তির মালিক ও পরিবার প্রধান হন।
৫.৩ ব্যক্তির জীবন চক্র :
ক) জন্ম ও আচার অনুষ্ঠান :
খুমী সমাজে শিশুর জন্ম হলে সাধারণত শিশুর পূর্ব পুরুষদের নাম অনুসারে তার নাম রাখা হয়। শিশুর নাভিরিজ্জু শুকিয়ে গেলে নামকরণ করা হয়। নাম দেখার সময় শিশুটিকে উদ্দেশ্য করে ‘সৌভাগ্যবান হও, সাহসী হও, স্বাস্থ্যবান হও ইত্যাদি বলে আর্শীবাদ করা হয়’।১৩ খুমী সমাজে শিশুর জন্মের ২/৩ দিন পর একটি মুরগি জবাই করে ‘আর্থিক্লো’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় উপস্থিত বয়স্ক মহিলাদের ডাকা হয়। রীতি অনুযায়ী তাদেরকে মদ পরিবেশন করে আপ্যায়ন করা হয়। খুমী সমাজে শিশু জন্মের পর মূল্যবোধের অংশ হিসেবে তিন মাস প্রসূতি মাকে লবণ, মাছ ও মাংস খেতে দেওয়া হয় না।
খ) বিবাহ :
খুমী সমগোত্রে বিবাহ হয় না। এ সমাজে কয়েক প্রকারের বিয়ের প্রথা রয়েছে। যেমন- ধার্য বিবাহ, অনিয়মিত বিবাহ, বহু বিবাহ ও বিধবা বিবাহ। ধার্য বিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতি নিতে হয়। প্রেম ঘটিত কারণে পাত্র-পাত্রী উভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে দিয়ে পরষ্পরকে স্বামী-স্ত্রী রূপে গ্রহণ করলে অনিয়মিত বিবাহ হয়ে থাকে। তাছাড়া বহু বিবাহ ও বিধবা বিবাহ প্রথাও অনুমোদিত। স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর মৃত স্বামীর ছোট ভাইয়ের সাথেও মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর বিয়ে হতে দেখা যায়। খুমীরা নিজ স¤প্রদায়ের বাইরে বম, ম্রো ও খিয়াংদের সাথেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
খুমী সমাজে বরপক্ষ কনের পক্ষকে কনের পণ হিসেবে ১২০টি রুপার পয়সা ১৯/২১টি বিজোড় সংখ্যক মোরগ-মুরগি, ১১/১৩টি বল্লম দিতে হতো। কিন্তু বর্তমানে রুপার মুদ্রা ও বল্লম অবৈধ হিসেবে নিষিদ্ধ করায় খুমী সমাজের বৈবাহিক প্রথাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে খুমীদের সামাজিক সংগঠন ‘খুমী কুহুং সমিতি’। ২০০৭ সালে ‘খুমী বৈবাহিক প্রথা সংস্কারমূলক আলোচনা সভা’ আয়োজন করে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সর্ব সম্মতিতে বল্লম ও রৌপ্য/রূপার মুদ্রার পরিবর্তে টাকায় কনের পণ দানের ব্যবস্থা করা হয়। সংশোধিত কনের পণ প্রথায় কনের পণ ধরা হয়েছে ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা, মায়ের ভাগ (দুধের দাম) ১,০০০ (এক হাজার) টাকা, ভাইয়ের ভাগ ১,০০০ (এক হাজার) টাকা এবং বল্লম এর পরিবর্তে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা। তাছাড়াও রয়েছে ১৭টি মোরগ-মুরগি। এটি ২০০৮ সালে ফেব্রæয়ারি মাসে বান্দরবান সার্কেল চিফ বোমাং রাজা অংশৈপ্রæ চৌধুরী সুপারিশ করার পর প্রথাগত আইন হিসেবে অনুমোদন লাভ করে।১৪
গ) মৃত্যু ও সৎকার :
খুমী সমাজের কোন পরিবারের সদস্য/সদস্যা পরলোক গমন করলে সাথে সাথে একটি শূকর, একটি কুকুর ও একটি মুুরগী হত্যা করা হয়। প্রকৃতি পূজারী খুমীদের কারও মৃত্যু হলে সাথে সাথে খোলা আঁকাশে ফাকা গুলি করে প্রতিবেশিদের জানিয়ে দেয়া হয়। সাধারণত ২/৩ দিন কারও কারও মতে ৪/৫ দিন মৃত দেহ ঘরে রেখে নিকট ও দূরবর্তী আত্মীয় স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করা হয়। যতদিন ঘরে লাশ রাখা হয় ততদিন ঢাক-ঢোল ও বিভিন্ন বাজনা বাজাতে থাকে। তখন পাড়া প্রতিবেশিরা সমস্ত কাজ কর্ম স্থগিত রেখে মৃতের পরিবারে জমায়েত হয়। খুমীদের সমাজে যে দিন লাশ সৎকার শেষ করবে সেদিন থেকে ঘরের ঠিক মাঝখানের খুঁটিতে একটা ককিয়া (বাঁশের নির্মত থ্রুং বা ঝুঁড়ি বিশেষ) ঝুলিয়ে রাখা হয়। প্রতিবেলা আহারের সময় পরিবারের যে খাবার পরিবেশন করা হয় সেখান থেকে একমুঠ করে নিয়ে ঝুলন্ত ককিয়াতে ফেলে রাখা হয়। যার কারণ হলো লাশ সৎকারের পর আত্মা বাড়িতে চলে আসে। এক বছর পর্যন্ত পরিবারের সাথে বসবাস করে। বছর শেষ হলে ঐ ককিয়াতে জমাকৃত খাবার ফেলে দেয়া হয়। তখন খুমীরা একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঐদিন মৃত ব্যক্তির আত্মার সাথে শেষ ভোজ বলে তারা গরু বা শূকর হত্যা করে। তাছাড়া জুমের সমস্ত শস্য বা ফসলাদি থেকে (মার্ফা, ভূট্টা, চিনার, বিন্নিভাত ইত্যাদি) রান্না করা হয়। মৃতের আত্মার প্রতি উৎসর্গ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে মামা গোত্রদের অবশ্যই নেমন্তন্ন করতে হয়। মামা গোত্রদের ব্যতীত এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা অবমাননাকর বলে তারা মনে করে। মূলত মামারাই এ অনুষ্ঠানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। উল্লেখ্য মৃতদেহ দাহ করার পর চিতার পাশে নির্মিত একটি ছোট্ট ঘরে চিতার ছাই ও মৃত ব্যক্তির দৈনন্দিন ব্যবহার্য কাপড়-চোপড়, হাঁড়ি-পাতিল ও দা রেখে দেয়া হয়।১৫
… চলবে
লেখক : পিএইচ.ডি গবেষক,
সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জা.বি.