আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের সামগ্রিক ঋণ পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পথে রয়েছে। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি অর্থ বছরেই পাকিস্তানী মুদ্রায় তা প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন রুপিতে পৌছবে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ঋণের সীমা চিহ্নিত হবে। কার্যত চলতি অর্থবছরের প্রতি মাসে ফেডারেল রাজস্ব প্রাপ্তি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ঋণের পরিষেবা প্রদানের জন্য যা প্রয়োজন তার চেয়ে কম হবে। যেহেতু দেশটির আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হবে এবং গুরুতর ঝুঁকি থাকবে তাই অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকৃতপক্ষে নীতিগত হার ২২ শতাংশ বা তার কম রাখতে চায়।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল শীর্ষস্থানীয় সরকারী সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ট্রেজারি-বিল এবং পাকিস্তান ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মাধ্যমে সরকার সামান্য ১.৪ ট্রিলিয়ন রুপি সংগ্রহ করেছে এবং সরকার বকেয়া দেশীয় ঋণের ২ ট্রিলিয়ন পরিশোধ করেছে। সরকারী সূত্র জানিয়েছে, এখন আমরা আমাদের ঋণের বাজারকে স্তিমিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি যার ফলে ঋণকে স্বল্পমেয়াদী থেকে দীর্ঘমেয়াদে স্থানান্তর করার চেষ্টা করা হবে। তবে কিছু অর্থনীতিবিদ যুক্তি দিয়েছেন যে দেশীয় পুনঃঋণ কেবলমাত্র সেখানেই করা যেতে পারে যেখানে মুদ্রাস্ফীতির চাপ হ্রাস পাওয়ার পর সুদের হার কমানো যাবে। স¤প্রতি ডলারের চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আন্তঃ ব্যাংক এবং খোলা বাজারে ডলারের বিপরীতে রুপি শক্তিশালী হয়েছে। পলিসি রেট এখন সর্বোচ্চ ১.২৫ শতাংশ বৃদ্ধির আশা করা যাচ্ছে। এই রেট স্থির না থাকলে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ঠিক থাকবে না। যেহেতু ট্রেজারি-বিল এবং ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের হার ইতিমধ্যেই বেড়েছে তাই ঋণ পরিষেবার খরচ আরও বাড়বে এবং চলতি অর্থবছরে তা পাকিস্তানী মুদ্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে।