পূর্বদেশ ডেস্ক
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে স্থাপিত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন আজ শনিবার উদ্বোধন হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যৌথভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) টিপু সুলতান বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রিসিপ্ট পাইপলাইন টার্মিনালের প্যান্ডেলে স্থাপিত টিভি পর্দায় উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভারতের আসাম রাজ্যের নুমালিগড় রিফাইনারির শিলিগুড়ি মাকেটিং টার্মিনাল থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর হয়ে পার্বতীপুর ডিপোতে সংযুক্ত হয়েছে পাইপটি। শিলিগুড়ির নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পার্বতীপুরের রিসিভ টার্মিনালটি এখন প্রস্তুত।
গত ১০ মার্চ পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিপিসির চেয়ারম্যান একে আজাদ জানান, রিসিভ টার্মিনালের কন্ট্রোল রুমটি সবচেয়ে অত্যাধুনিক, কম্পিউটারাইজ ও অটোমেটেড। যা যুক্ত হেড অফিসের সঙ্গে। দপ্তরে বসেই মোবাইলে পাইপলাইনের তেলের পরিস্থিতি দেখতে পারবেন। মাঠ পর্যায়ে পাইপলাইনের কেউ ক্ষতির চেষ্টা করলে তা কন্ট্রোল রুমে ধরা পড়বে। পাইপলাইনের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অংশে ১২৬ কিলোমিটার দূরত্বে প্রতি ৩০ কিলোমিটারে পাঁচটি এসভি স্টেশন (সেকশনালাইজিং ভালভ) স্থাপন করা হয়েছে। ভারতকে যে মানের নমুনা দেয়া হয়েছে সেভাবেই ১০ পিপিএম উন্নতমানের রিফাইন ডিজেল আসবে।
জানা গেছে, উত্তরের ১৬ জেলায় নিরবচ্ছিন্নভাবে ও সারা বছর ডিজেল সরবরাহ রাখতে এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ভ‚মিকা রাখবে।
পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা ডিজেল সংরক্ষণের জন্য পার্বতীপুর রিসিভ টার্মিনাল সাইডে ২৯ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি বাফার ডিপো নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার টন জ্বালানি মজুতের সক্ষমতা রয়েছে।
বিপিসির সূত্র জনায়, চুক্তি অনুযায়ী ভারত ১৫ বছর ডিজেল সরবরাহ করবে। এর মধ্যে প্রথম ৩ বছর ২ লাখ টন, পরবর্তী ৩ বছর ৩ লাখ টন এবং এরপর ৪ বছর ৫ লাখ টন, অবশিষ্ট ৫ বছরে ১০ লাখ টন তেল সরবরাহ করবে। এরপর চুক্তি নবায়ন করা হবে। না হলে পাইপলাইনের মালিকানা বাংলাদেশের কাছে থাকবে।