অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ: ঐক্যের প্রতিশ্রুতি

2

 

অস্ট্রেলিয়ার জনগণ প্রায় এক দশক পর বামপন্থী লেবার পার্টিকে ক্ষমতায় আনলো। শনিবার দেশটির সাধারণ নির্বাচনে দলটি থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে জনগণকে ঐক্যের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন অ্যান্থনি আলবানিজ। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উচ্ছ¡সিত সমর্থকদের উদ্দেশে আলবেনিজ বলেন, ‌‘তারা পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।’ তবে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাম নেতাদের সঙ্গে জনগণের একটা ঐক্যের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। এছাড়া সামাজিক পরিষেবাগুলোতে বিনিয়োগ এবং জলবায়ু যুদ্ধের অবসানেরও প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন তিনি। আংশিক ফলাফল অনুসারে লেবার পার্টি এখন পর্যন্ত ৭২টি আসন পেয়েছে। দেশটির সংসদে নিম্নকক্ষে আসন সংখ্যা ১৫১টি। আর চারটি আসন পেলেই নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে লেবার পার্টি।
এদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের নেতৃত্বে মধ্য-ডান জোট এখন পর্যন্ত ৫১টি আসন পেয়েছে। মরিসন শনিবার দেরিতে হলেও পরাজয় স্বীকার করেছেন; তবে ভোট গণনা এখনও চলছে। পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে মরিসন বলেন, আমি বিরোধী দলের নেতা ও সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজের সঙ্গে কথা বলেছি। সন্ধ্যায় নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। লিবারেল পার্টির প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এই ফলাফলের কারণে দেশটিতে ৯ বছরের রক্ষণশীলদের শাসনের অবসান হতে যাচ্ছে। জনগণ মধ্য-বাম ঘরানার বিরোধী দলের পক্ষেই গেছে। এই শিবিরের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেওয়া হয়।

 

গবেষণা গোষ্ঠী ক্লাইমেট কাউন্সিল-এর সিইও আমান্ডা ম্যাকেঞ্জি অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, লাখো অস্ট্রেলীয় জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড ও জুলিয়া গিলার্ডের শাসনামলে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আলবেনিজ। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলটির সর্বশেষ পরাজয়ের পর লেবার নেতা হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।