নিজস্ব প্রতিবেদক
চা বোর্ডের অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে চা মজুদের অপরাধে নগরীর সৈয়দ টি ওয়্যারহাউসের ২টি গুদাম এবং এনএনটি ওয়্যারহাউজের ১টি গুদাম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সৈয়দ টি ওয়্যারহাউস তাদের অনুমোদিত ১টি গুদামের বাইরে আরও ২টি গুদামে চা মজুদ করেছিল। অন্যদিকে এনএনটি ওয়্যারহাউস ১টি গুদামের অনুমতি নিয়ে ২টি গুদামে চা মজুদ করছিল। অনুমোদনহীন অবৈধ গুদাম ৩টি বন্ধ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর ফৌজদারহাট এলাকার ওয়্যারহাউস দুটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমীন অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
অভিযানে সৈয়দ টি ওয়্যারহাউসে আছিব ব্রাদার্সের অবৈধ চা মজুদ করার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর এবং ১২ সেপ্টেম্বর পৃথক অভিযানে আছিবুর রহমানের মালিকানাধীন সীতাকুন্ড উপজেলার বানুর পাড়ায় অবস্থিত আছিব ব্রাদার্সের গুদামে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৪ টন মেয়াদোত্তীর্ণ ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা চা জব্দ ও ধ্বংস করে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে মো. রুহুল আমীন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র চা বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে ওয়্যারহাউসের গুদামে অবৈধ ও নিম্নমানের চা মজুদ ও বাজারজাত করছে। এছাড়া কালোবাজার থেকে এসব অবৈধ চা কেনার ফলে একদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। চা ব্যবসার এসব নানা অনিয়ম প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল বোরহান, ফটোগ্রাফার আকিব মর্তুজা অভিযানে অংশ নেন।