৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮টি নির্বাচনী কেন্দ্রসহ অন্যান্য খাতে বরাদ্দ সাড়ে ৬২ লাখ

61

সরকার চন্দনাইশে ৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮টি নির্বাচনী কেন্দ্র, ৮টি ক্ষুদ্র মেরামত, ১৫টি রাজস্ব খাত, ৪০টি বিদ্যালয়ের রুটিন মেরামতের জন্য ৬২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুপাতে সর্বনি¤œ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ পাচ্ছে বিভিন্ন বিদ্যালয়। জানা যায়, সরকার নির্বাচনী কেন্দ্র সংস্কারের জন্য চন্দনাইশ উপজেলায় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লক্ষ টাকা, ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লক্ষ টাকা, ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাত থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, বিদ্যালয়ে রুটিন মেরামতের জন্য ৪০টি বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থী আনুপাতিক হারে প্রতিটি বিদ্যালয় ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাবে। যা আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। বিভিন্ন নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনায় নির্বাচনী কেন্দ্র যথাক্রমে ধোপাছড়ি চিড়িংঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামিজুরী অমিতাভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ হারলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সাতবাড়িয়া হাজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিয়াকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাইগাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্যম হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে। অপরদিকে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য পশ্চিম এলাহাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পূর্ব জোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইনজুরী এ রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাগাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দোহাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিহস ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাছবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাছনদÐী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরিফ শাহপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে। এছাড়া ১৫টি বিদ্যালয় রাজস্ব খাতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে সংস্কার কাজে বরাদ্দ পাবে। পাশাপাশি ৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী আনুপাতিক হারে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ¯িøপের বরাদ্দ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সকল বরাদ্দকৃত অর্থ উপজেলা পর্যায়ে ছাড় দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। বরাদ্দ পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, প্রধান শিক্ষক যৌথভাবে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করবেন। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী এ সকল কাজ তদারকি করে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করার পর এ অর্থ বিদ্যালয় পর্যায়ে ছাড় দেয়া হবে বলে জানা যায়। গত ১৬ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) কাউসার সাবিনা স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রের মাধ্যমে বলেছেন, বৃহৎ, ক্ষুদ্র, রুটিন, রাজস্ব মেরামতের মধ্যে একই অর্থ বছরে ১টি প্রতিষ্ঠান একাধিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ পেয়ে থাকলে ১টি ক্ষেত্রে বরাদ্দ ছাড় পাবে। কোনভাবে একের অধিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ ব্যবহার করতে পারবেন না। চন্দনাইশে চলতি অর্থ বছরে বৃহৎ মেরামতে ১টি বিদ্যালয়ও বরাদ্দের তালিকা নাই বলে জানা যায়।