৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

42

সংবাদপত্রকর্মীদের নতুন বেতন কাঠামো নবম ওয়েজবোর্ডের (৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ) প্রকাশিত গেজেট কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে ওয়েজ বোর্ড সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহব্বায়ক, তথ্য সচিব, শ্রম সচিব ও নবম ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এর আগে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৬ আগস্ট রুলসহ গেজেট প্রকাশে দুই মাসের স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদনের পর ২০ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
ওবায়দুল কাদেরকে আহব্বায়ক করে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এ নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। ওইসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, নবম ওয়েজবোর্ডে সাংবাদিক-কর্মচারীদের পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি গ্রেড রয়েছে। প্রথম তিনটি গ্রেডে মূল বেতনের ৮০ শতাংশ ও নিচের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশের পাশাপাশি মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
গত বছরের ৪ নভেম্বর সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ডের রোয়েদাদের সুপারিশ তথ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন নবম ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এ সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হয়। এর আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গত বছর ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়। ওয়েজবোর্ডে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো চ‚ড়ান্ত করে। ২০১২ সালে সাংবাদিকদের জন্য অষ্টম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পরের বছর এই বোর্ড নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে।