৮ ট্রেনের সূচি ওলটপালট

29

দুর্ঘটনার পরপরই দ্রুত রিলিফ ট্রেন পাঠিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট লাইন চালু করা হয়। এরপরেও দুর্ঘটনাস্থলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় অধিকাংশ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। এমনকি নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছাড়লেও দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে ছিল ট্রেনগুলো। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনগুলোও নির্ধারিত সময়ে চলাচল করেনি। তবে এতো বড় দুর্ঘটনার পরও কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিট থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ পূর্বদেশকে বলেন, উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সব ট্রেন পর্যায়ক্রমে চলাচল করছে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকেও চারটি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। শুধু দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার উদয়ন এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ১১টায় ৯টি বগি নিয়ে স্টেশনে আসে। পরে আরো ১টি বগি যুক্ত করে পাহাড়িকা হয়ে ট্রেনটি সাড়ে ১২টায় সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ ট্রেনটি আখাউড়ায় গেলে আরো চারটি বগি যুক্ত হবে। যে ছয়টি বগি বাদ দেয়া হয়েছে সেখানে যারা টিকিট নিয়েছিল তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। আর অনেকেই সেই টিকিট নিয়ে স্ট্যান্ডিং যাত্রী হয়ে চলে যায়।
রেলস্টেশন সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ঢাকাগামী সুবর্ন এক্সপ্রেস, ৭টা ২০ মিনিটে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস, ৭টা ৩০ মিনিটে চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস, ১০টায় ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও ১টায় ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে পাহাড়িকা হয়ে সকাল ৯টায় সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা থাকলেও সেটি সাড়ে ১২টায় ছেড়ে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত অপর ট্রেন তূর্ণা ঢাকা গেলেও প্রভাতী হয়ে নির্ধারিত সময়ে চট্টগ্রাম আসেনি। মহানগর গোধুলী বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ৫টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রামে আসার কথা থাকলেও সেটি আসে ৩টা ২৫ মিনিটে।