৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এজেন্টদের কেন্দ্রে তলব

58

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয় ইভিএমে। কারচুপির অভিযোগে ভোটের দিন দুপুরে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান। সর্বশেষ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির এই প্রার্থী ভোটের কারচুপির নানা বিষয় তুলে ধরেন। এবার এই সংসদীয় আসনের বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে নিয়োজিতদের ঢাকায় ডেকেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। আজ সকাল ১১টায় নির্বাচনে কারচুপির নানা বিষয় নিয়ে সেখানে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে।
ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে আজ সকাল ১১টায় এ অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হব। সভায় যোগ দিতে গতকাল রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থীসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে থাকা পোলিং এজেন্ট ও বিএনপি নেতারা। চট্টগ্রাম থেকে মোট ৫০ জন কর্মী এ সভায় যোগ দিবেন।
এ বিষয়ে কথা হলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, নতুন কায়দায় আমার সংসদীয় আসনে ভোট কারচুপি হয়েছে। ঢাকার সভায় মূলত আমাদের নির্বাচনের যে অভিজ্ঞতা সেটা বিনিময় হবে। পোলিং এজেন্টসহ ৫০ জন যাচ্ছি। সেখানে কারচুপির বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
আগামী ১ ফেব্রæয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। বিএনপি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনেও প্রার্থী দিয়েছে। সদ্য অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ এবং এই উপ-নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে সিটি নির্বাচনে বিএনপির কারণীয় ঠিক করতেই মূলত হঠাৎ করে চট্টগ্রাম-৮ আসনের কর্মীদের ঢাকায় ডাক দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। তাছাড়া আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কেও বিএনপির অবস্থান এই সভা থেকে অনেকটা পরিষ্কার হতে পারে বলে জানিয়েছে দলটির একটি সূত্র।এ বিষয়ে নগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, সামনে আরো নির্বাচন আসছে। বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে যে ভোট কারচুপি হয়েছে সেটার নানা বিষয় জানতে কেন্দ্র মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। এখান থেকেই কেন্দ্র সামনের নির্বাচন সম্পর্কে একটা ধারণা অর্জন করতে চায়। সামগ্রিকভাবে কোন কোন ধরনের কারচুপি হয়েছে সেটা বিষদভাবে জানতে চায়।
এদিকে শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আবু সুফিয়ান। এতে তিনি নির্বাচনের আগের রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে কেন্দ্র দখল, মৃত ও প্রবাসী মানুষের ভোট প্রদান, আগ্রাহী ভোটারদের হুমকি দিয়ে তাড়ানো, ভোটারদের জোর করা, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকা, ধানের শীষের নেতাকর্মীদের বেদম মারধর করে আহত করা, পূর্ব নির্ধারিত ফলাফল ঘোষণা, নির্বাচনী এলাকার বাইরের ভোটার এসে ভোট প্রদানসহ ভোট কারচুপির বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য দেন।
উল্লেখ্য, পরপর তিনবারের সাংসদ জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-৮ আসনে গত ১৩ জানুয়ারী উপ-নির্বাচন হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ৮৭ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট।