৮৮% শিশুই সহিংস আচরণের শিকার

28

বাংলাদেশে শিশুর প্রতি সহিংস আচরণের প্রবণতা বাড়ছে বলে সরকারি এক জরিপে উঠে এসেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯’ শীর্ষক জরিপ অনুযায়ী, দেশে ১ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ সহিংস আচরণের শিকার হচ্ছে। এর আগে ২০১৩ সালে বিবিএস পরিচালিত জরিপে এই হার ছিল ৮২ দশমিক ৩ শতাংশ।
গতকাল সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে জরিপের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতায় এই জরিপ চালানো হয়।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, লালনপালনকারীদের মাধ্যমেই শিশুরা সহিংস আচরণের শিকার হচ্ছে বেশি। খবর বিডিনিউজের
বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জরিপে পাওয়া তথ্য তুলে ধরেন পরিচালক মো. মাসুদ আলম। পরিচালক বলেন, জরিপে এসেছে দেশে ১৫ বছরের নিচে প্রতি ১০ জনের নয়জন শিশুই তাদের অভিভাবক বা সেবা প্রদানকারীদের দ্বারা কোনো না কোনোভাবে সহিংসতার শিকার হয়।
মাসুদ জানান, সারা দেশে ২৪ হাজার ৬০০ শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে সহিংসতার এই তথ্য পেয়েছেন তারা। তবে কোনো শিশুর সঙ্গে কথা বলেননি। সহিংস আচরণের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, শুধু মারধর নয়, হাল্কা বকাবকি কিংবা ধমককেও আমলে নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের কর্মকর্তা অ্যালেইন বালানডি ডমসাম।
‘মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯’র পরিচালক মাসুদ আলম জানান, ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে ১ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে ৬১ হাজার ২৪২টি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে গত ছয় বছরে নারীদের ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশের শতকরা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাসায় রয়েছে কম্পিউটার।
দেশের শতকরা ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ নারী মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এছাড়া শতকরা ৯৫ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়িতে মোবাইল ফোন রয়েছে।
বর্তমানে দেশে নারীদের শিক্ষার হার বেড়ে ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়। ছয় বছর আগের জপিপে এ হার ছিল ৮২ শতাংশ।