৫০ টাকার নিচে সবজি নেই, মাছের দাম ‘চড়া’

121

বাজারে কোনও কোনও সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কেজিপ্রতি ৫০ টাকার নিচে কোনও সবজি পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। কোরবানির ঈদের আগে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত হয়েছিলো। টানা বৃষ্টি ও বন্যার অজুহাতে সে সময় সবজির দাম বেড়ে যায় বলে দাবি ছিল বিক্রেতাদের। তবে কোরবানি ঈদের পর থেকে সবজির দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর কাজীর দেউড়ি, চকবাজার, ষোলশহর কর্ণফুলী মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঝিঙা, চিচিংগা, কাকরল, ঢেঁড়শ, লাউ, করলাসহ প্রায় সকল প্রকার সবজির দাম আগের চেয়ে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে শসা, কাকরল, বাঁধাকপি, ঢেঁড়শ ও লাউয়ের কেজি ছিলো ৮০ টাকা আর গতকাল তা বিক্রি হয় কেজি ৬০ টাকায়।
সবজির ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন হৃদয় বলেন, কচুর লতি, ধুন্দল, বরবটি, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, বাঁধাকপি, ঢেড়শ, কচুর ছড়া কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহেও দাম একই ছিলো। তবে দাম কমে টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজি ১০০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিলো ১২০ টাকায়।
গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম ছিলো প্রতি কেজি ১২০ টাকা আর গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা দরে। তবে গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় শসা বিক্রি হয়েছে। পেঁপের দাম আগের মতই কেজি ৪০ টাকা রয়েছে। সিম আর ফুলকপি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিলো কেজি ১৪০ টাকায়। গতকাল তা অপরিবর্তিত দেখা গেছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ,মাছের দামও চড়া। প্রতি কেজি লইট্টা বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। পোয়া ৪০০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, ইলিশ আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, রূপচাঁন্দা ৮৫০ টাকা, দেশি রুই ২৮০ টাকা ও শিং মাছ প্রতিকজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহেও এ রকম কাছাকাছি ছিলো বলে জানান মাছ ব্যবসায়ী মো. রবিউল হোসেন।
এদিকে এখনও গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়নি। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কোরবানির ঈদের কারণে এখনো গরু জবাই করেনি কসাইরা। তবে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজিতে গত সপ্তাহের তুলনায় পাঁচ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকায়। দেশি মুরগি কেজি ৪০০ টাকা আর সোনালী মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকায়।
কাজীর দেউড়ি বাজারে ক্রেতা মো. এহছান বলেন, সবজি এবং মাছের দামের উর্ধ্বগতি আগের মতই রয়েছে।
সবজি ব্যবসায়ী মঈনুদ্দিন বলেন, ক্ষেতের চাষীরা পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহ করতে না পারায় একটু দাম বেশি বলে মনে হচ্ছে। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
চট্টগ্রাম কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, বাজারে খুচরা পর্যায়ে সবজির চাহিদা বেড়েছে। তবে পাইকাররা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যাপ্ত সবজি আনতে পারছে না বলেই দাম একটু বেশি।