৪ প্রতিবন্ধী করোনা ভাইরাসের কারণে রিক্সা চালাতে পারছেনা

115

করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় চন্দনাইশ পৌরসভার ৪ প্রতিবন্ধী অসহায় জীবন যাপন করছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চন্দনাইশ পৌরসভার দুর্লভ পাড়ার মৃত আবদুস সালামের ছেলে নাছির উদ্দীন (৩৭) শারীরিক প্রতিবন্ধী স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে না পারায় লাটির সাহায্যে চলাফেরা করে।
মা, স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়ে নিয়ে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করে। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১০ দিন ধরে রিক্সা চালাতে না পেরে অসহায়ভাবে, অতিকষ্টে চলছে সংসার। পৌরসভার সদরস্থ মীর বাড়ির মৃত লালু মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছোট ভাই মোরশেদ (৪৫) ২ জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। সিরাজুল ইসলাম প্রায় ২০ বছর পূর্বে বিদেশে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী অবস্থায় ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালিয়ে স্ত্রী, ১ ছেলে, ৩ মেয়ে নিয়ে অতিকষ্টে জীবন অতিবাহিত করছে। তার ভাই মোরশেদুল আলম স্ত্রী, ১ ছেলে, ৩ মেয়ে নিয়ে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালিয়ে সামান্য আয়ের উপর সংসার চলে। অপরদিকে হারলার শারীরিক প্রতিবন্ধী আজম খাঁন (৪৬) স্ত্রী, ৪ সন্ত্রান নিয়ে রিক্সা চালিয়ে অতিকষ্টে সংসার জীবন অতিবাহিত করছিল। ইতিমধ্যে গত ২৫ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে রিক্সা চলাচল তেমন হচ্ছিল না। তার মাঝে গত ১০ দিন ধরে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এসকল প্রতিবন্ধীদের একমাত্র আয়ের স্থল রিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় ৪টি পরিবারে সদস্যরা অর্ধাহারে, অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সিরাজুল ইসলামের ব্যাপারে একটি সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন তাৎক্ষনিক তাকে এক প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
অন্যান্য ৩ প্রতিবন্ধী রিক্সা চালক সরকারি-বেসরকারি সাহায্য পর্যাপ্ত পরিমান না পাওয়ায় ছেলে, মেয়েদের নিয়ে অতি কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। কোন বিত্তবান স্বহৃদয় ব্যক্তি তাহাদের পরিবারের পাশে এসে দাড়াঁবেন কি? এসময় এসকল পরিবারের সদস্যরা এলাকার বিত্তবানদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তারা সরকারের দেয়া সাহায্য ও যথাযথভাবে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে।