৪ অক্টোবর থেকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াবে চসিক

18

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী জানান, পুষ্টি বাস্তবায়ন সমন্বয় স্টিয়ারিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নগরীতে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পক্ষকালব্যাপী ইপিআই কেন্দ্রে সমূহে এই কর্মসূচি চলবে। ৪ অক্টোবর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
চসিক মেমন হাসপাতালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তা নয়, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার করে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন করে থাকে। তারই আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে এই পুষ্টিসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
তিনি বলেন, ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব এক শতাংশের নিচে কমিয়ে আনা এবং তা অব্যাহত রাখা। একই বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।
তিনি এই কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে বলেন, ৯০ শতাংশের বেশি শিশু যাদের বয়স ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস, প্রতি ৬ মাস অন্তর বছরে ২ বার লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে। ৯০ শতাংশের বেশি শিশু যাদের বয়স ৬ থেকে ১১ মাস, তারা প্রতি ৬ মাস অন্তর বছরে একবার নীল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে।
তিনি আরও জানান, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ৪ লক্ষ ৫২ হাজার শিশুকে ১টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ ইউনিট) খাওয়ানো হবে। এবং শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণ মতো সুষম খাবার খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, জোনাল মেডিক্যাল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. জুয়েল মহাজন, ডা. আকিল মো. নাফে, ডা. সুমন তালুকদার, চসিক কর্মকর্তা আবদুর রহিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৭৭ হাজার ২৩৭ জনকে নীল ও ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৬ জনকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল, অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ।