৪০ সেনা-পুলিশ অপহরণের পর রাখাইন ফের উত্তপ্ত

54

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাতিগত বিদ্রোহীরা শনিবার কমপক্ষে ৪০ জন পুলিশ ও সেনা সদস্যকে অপহরণ করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায় নি। ওই অভিযোগে সেখানে অতিরিক্ত হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে সেখানে আবারও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইতিহাস আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণসহ রাখাইনে সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রশ্নকে সামনে রেখে প্রচারণা চালায় আরাকান আর্মি। রাখাইনে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের তথ্য বারবার সামনে আনার মধ্য দিয়ে সেখানকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলছে তারা। কারও ধারণা, এই মুহূর্তে তাদের সদস্য সংখ্যা ৩ হাজার। কেউ আবার মনে করেন, ৭ হাজার সেনা রয়েছে তাদের।
তবে সবাই মানেন, সামরিক শক্তি নয়, তাদের প্রকৃত অস্ত্র আরাকানের জনসাধারণের অকুণ্ঠ সমর্থন। গত ১৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের পুলিশ চৌকিতে আরাকান আর্মির হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার জবাবে দেশটির সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। তখন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘর্ষ হয়। তারা সেখানে প্রায় সেনা, পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অপহরণ করে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে আরাকান আর্মি একটি নদীর তীরে অবস্থান নেয়। ওই নদীতে রাজ্যের রাজধানী থেকে উত্তরে অফ-ডিউটিতে ছিল একটি ফেরি। তাতে ছিল পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। এ সময় তাতে গুলি ছোড়ে বিদ্রোহীরা।