৩ বারেও ইমরানের ফোনে সাড়া দিলেন না মোদি

37

নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করতে বিমান হামলা চালাতে গিয়ে পাকিস্তানে আটক হওয়া ভারতীয় পাইলটকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ইসলামাবাদের সিদ্ধান্ত সরাসরি নরেন্দ্র মোদিকে জানাতে চেয়েছিলেন ইমরান খান। এজন্য তিন দফায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তবে একবারের জন্যও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কেউ এ ফোন রিসিভ করেনি।মোদিকে দফায় দফায় ফোন করেও কোনও সাড়া না পেয়ে পরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে ভারতীয় পাইলটের মুক্তির ঘোষণা দেন ইমরান খান। শান্তির বার্তা দিতেই ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তেজনা কোনও দেশেরই প্রত্যাশিত বিষয় নয়। ভারত, পাকিস্তানের জন্যও নয়। এজন্য তিনি নিজেই বৃহস্পতিবার মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। তবে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকে দুর্বলতা হিসেবে না ভাবতেও ভারতের প্রতি আহব্বান জানান ইমরান খান। তার ভাষায়, ‘একে ভুল বার্তা হিসেবে নেওয়া ঠিক হবে না।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো অবশ্য বলছে, শান্তির বার্তা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের চাপের মুখেই আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।
এদিকে আটক ভারতীয় পাইলটকে তাড়াহুড়ো করে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। দলটি জানতে চেয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সরকার পর্দার অন্তরালে কোনও সমঝোতায় গেছে কি-না? শুক্রবার পাকিস্তানের সিনেটে এ নিয়ে আলোচনায় এসব প্রশ্ন তোলেন পিপিপি’র পার্লামেন্টারি বোর্ডের নেতা শেরি রেহমান।
তিনি বলেন, পিপিপি ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেওয়ার বিরোধী নয়। কিন্তু এর বিনিময়ে পাকিস্তান ভারতের কাছে কি চেয়েছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, এর বিনিময়ে ভারত কোনও ছাড় দেয়নি। এটি সত্য হলে তা হবে একটি অপরিপক্ব কূটনীতি। ভারত দুই দফায় পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এটা এক ধরনের আগ্রাসন। শেরি রেহমান বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বার বার ফোন সত্তে¡ও তাতে সাড়া দেননি মোদি। দিল্লির উচিত ছিল, প্রধানমন্ত্রীর ফোনের অন্তত জবাব দেওয়া।