৩৬ বছরেও বরকল ভ‚ষণছড়া গণহত্যার বিচার পায়নি নিহতদের স্বজনেরা

94

৩১মে ১৯৮৪ সালের এই দিনে জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম বরকল উপজেলার ভ‚ষণছড়া বাঙালি জাতির উপর নেমে আসে এক বর্বরচিত দিন। এ দিনে অসহায় নিরিহ বাঙালিদের তৎকালিন (সন্তু গ্রূপ) শান্তিবাহিনী নামধারি সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যাকান্ড চালায়। এতে করে মারা যায় প্রায় ৪৫০-৫০০ জন বাঙালি। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ভয়ে ওই দিন কারও প্রতিবাদ করার মত সাহস ছিলনা ।গতকাল রবিবার সকালে নিহতদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা। বরকল ভূষণছড়া গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শোকসভা ও কবর জিয়ারাতে উপস্থিত ছিলেন ভ‚ষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুবলীগ নেতা মো. মামুন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম,নিহত স্বজনদের মা বাবা ভাই বোন সহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গরা। আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, সাবেক পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী,বিএনপি নেতা ও তৎকালিন শান্তি বাহিনীর মেজর মনিস্বপন দেওয়ান ওরফে মেজর রাজেশের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র উপজাতি সন্ত্রাসী ওই দিন দিবাগত রাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৫শ অধিক ঘুমন্ত নিরিহ বাঙালি জনগণকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সে দিন রাতেই সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটিকে সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলে।ওই শিশুটি আর আলোর মূখ দেখেনি। ওই দিন মানবতার করুন চিৎকারে পাহাড়ের বৈচিত্র কালো মেঘে ঢাকলেও সরকারের পাথর হৃদয় গলাতে পারেনি। সরকার বৈষম্যের এক চক্ষুনীতিতে বারবার খুনিদের পুরস্কৃত করে যাচ্ছে। রক্ত কেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাঙালি জনগণের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে বিন্দু মাত্র ভাবার প্রয়োজন মনে করেনি। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর যদি দেশে যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার হতে পারে তা হলে ৩৬বছর পর কেন শান্তি বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিচার হবেনা। নিহতদের স্বজনেরা বলেন,দীর্ঘ ৩৬ বছর হলো ভূষণছড়া গণহত্যা সংগঠিত হলো। আমরা এখনো বিচারের অপেক্ষায় আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৪০ বছর পরে যদি জাতির পিতার বিচার পেতে পারেন তাহলে ৩৬বছর পর কেন ভ‚ষণছড়া গণহত্যার বিচার পাবনা। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি বরকল ভুষণছড়া গণহত্যার বিচার দ্রুত শুরু করেন না হয় নিতহদের স্বজনেরা প্রতিবাদ নিয়ে রাজপথে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। এদিন তৎকালিন শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীরা প্রায় ৫শ অধিক লোক মেরে ফেলেছে।
এর মধ্যে সদ্য শিশু,নারী,ছাত্র জনতা ও বৃদ্ধ লোকজন ছিল। অপর দিকে ভূষণছড়া বাঙালি গণহত্যা দিবসের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বাঙালি মসমনা সংগঠন গুলো তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। তারা এ হত্যাকান্ডে জন্য সন্তু লারমা ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মনিস্বপনকে দায়ী করেছেন।