৩০ লাখ বাসিন্দাকে নাগরিকত্বের প্রস্তাব ব্রিটেনে হংকংয়ে নিরাপত্তা আইন ফের যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

15

আধা-স্বায়ত্তশাসিত নগর অঞ্চল হংকংয়ে চীনা জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হংকং সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে। আইনটি কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড জড়িত ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। এখন অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যাওয়ার আগে এটি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হতে হবে। ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশরা চীনের কাছে হংকংকে হস্তান্তরের সময় ৫০ বছর মেয়াদী যে স্বাধীনতার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বেইজিং এই আইন তার স্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলছেন, ‘আইনটি পাশবিক, এটি হংকংয়ের জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুত স্বাধীনতা খর্ব করার নির্মম ও সুস্পষ্ট এক চক্রান্ত।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার পার্লামেন্টে বলেছেন, আইনটি কার্যকর করা সেই চুক্তির ‘স্পষ্ট ও গুরুতর লঙ্ঘন’। চীন আইনটি প্রণয়নের ঘোষণা দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হংকংয়ের ৩০ লাখ নাগরিককে ব্রিটেনে বসবাস এবং স্থায়ীভাবে নাগরিকত্ব প্রদানের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। চীন প্রণীত কথিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কেন্দ্রীয় সরকার পতন, সন্ত্রাসবাদ ও ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতমূলক যেকোনো কাজ’ শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। হংকংয়ের স্বাধিকার আন্দোলন দমনের লক্ষ্যেই আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির জন্য আইনটি তৈরি করেছে বেইজিং।