২৫ মার্চের নারকীয় তান্ডবের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি

60

 

খাগড়াছড়ি : সারাদেশের মত খাগড়াছড়িতেও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। ভোরে চেঙ্গী স্কোয়ার সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান, জেলা আওয়ামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবসহ সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্প স্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলাদা আলাদাভাবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচী পালন করছে।
দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, বিকেলে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট, আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়।
কাপ্তাই : মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) উদযাপন হলো মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস। ওইদিন সকাল ৭ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর সকাল ৮টায় কর্ণফুলি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং নৌ-বাহিনী স্কুলের শিক্ষার্থীদের কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে শুরু হয়। কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আগ্রাফ আহমেদ রাসেলের সভাপতিত্বে এসময় কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউসার, কর্ণফুলি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম বেলাল চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কাপ্তাই থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ নুর, ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদের আহমেদ, শিক্ষা কর্মকর্তা খুরশিদুল আলম চৌধুরী, উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। সবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় কর্ণফুলী শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে। সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ রাসেল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহদাৎ হোসেন চৌধুরী, কাপ্তাই থানার ওসি সৈয়দ মো. নুর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা উপ-কমিটির আহবায়ক উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, সদস্য অধ্যক্ষ এএইচএম বেলাল চৌধুরী প্রমুখ। সভার পূর্বে অতিথিবৃন্দ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন এবং তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন
চুয়েট : ২৫ মার্চের নারকীয় তান্ডবের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন চুয়েট ভিসি। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ২৬ মার্চ সকালে চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচীর সূচনা করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় চুয়েটের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের শহীদ দুই শিক্ষার্থীর কবর জেয়ারতের পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। মানবিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান ও প্রভাষক নাহিদা সুলতানার যৌথ সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফীন, প্রভোস্টগণের পক্ষে শহীদ মোহাম্দ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশীদ, স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহম্মদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জামাল উদ্দীন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. শাকিল, রাফসান জানি রিসান, সাজিদ উদ্দিন আহমেদ ও ফরহাদ শাহি আফিন্দি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে নিরস্ত্র বাঙালির উপর বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়েছিল তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এখন সময় এসেছে পাকিস্তানিদের নারকীয় বর্বরতার মুখোশ বিশ্ব দরবারে উম্মোচন করার। তাই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছি। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা চাই কূটনৈতিক তৎপরতা।
২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড, গুইমারা রিজিয়ন : মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪আর্টিলারি ব্রিগেড, গুইমারা রিজিয়ন। দুপুরে রিজিয়ন সদর দপ্তরের মুশফিক হলে আয়োজিত বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাজেদুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতীর সূর্য সন্তান। তাদের অবদানকে অস্বীকার করলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে। তাই সকলেরই উচিত দেশ-মাতৃকার এ গর্বিত সন্তানদের পাশে থাকা।
পরে তিনি সবাইকে সাথে নিয়ে প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রিজিয়নের বিএম মেজর মো. ফজলে রাব্বী, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান উষেপ্রু মারমা, গুইমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ম্রাসাথোয়াই মগ সহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক ও পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়া : কক্সবাজারের চকরিয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চকরিয়া পৌর শহরের পুরাতন বিমানবন্দর সড়কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এ সময় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত, কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো.মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিক উল্লাহসহ মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন এবং মগবাজারস্থ শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
দুপুরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের হলরুম মোহনা মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭মার্চের ভাষণের তাৎপর্য এবং উন্নয়ন অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ জাফর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদুল আলম। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় উপজেলা প্রশানের পক্ষ থেকে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মগবাজারস্থ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপজেলা পরিষদ ও চকরিয়া পৌরসভা একাদশ এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ভিডিও চলচিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন এসব অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে।
আজিম-হাকিম স্কুল এন্ড কলেজ : কর্ণফুলী উপজেলাধীন আজিম-হাকিম স্কুল এন্ড কলেজ মহান স্বাধীনতা দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০১৯ সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ হাকিম আলী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের মাননীয় উপ. বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ, আয়ুব বিবি সিটি কর্পোরেশ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান, প্রধান নির্বাহী মাস্টার হাফেজ আহমদ, প্রধান শিক্ষক মনজুর আলম, নির্বাহী কমিটির সদস্য এম.এ সালাম, জনাব সেকান্দর আলী, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাইমা সোলতানা সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ ২০০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ ৯মাস স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মাহুতি, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতহানি হয়েরেছ। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। কোন দেশের স্বাধীনতার জন্য এত মানুষ আত্মাহুতি দেয়নি। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ খেলাধুলায় বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন।
লামা : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সন্তানদের সংবর্ধনা দেয়া দিয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় অতিথি ছিলেন, পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মাহাবুবুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁঞা, থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপ্পেলা রাজু নাহা, প্রেসক্লাব সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. আলী হোসাইন প্রমুখ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল ও সলিমুল হক চৌধুরী। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অতিথিবৃন্দ।
চকরিয়ায় ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজ: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। ২৬ মার্চ জাতীয় দিবসটি উদযাপন করা হয়। সকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য র‌্যালি খালকাছাপাড়া এলাকা প্রদক্ষিণ করে। ‘স্বাধীনতার বর্ণগাঁথা’ বিষয়ে নিজেদের ভাব প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী। এরপর ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মহি উদ্দিন কাদের অদুলের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর মো. আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের অতিথি নাজিম উদ্দিন খোকন, অহিদুল কাদের, তান্নিছ তায়েবা মুসরাত ফাতেমা ননী, ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ক্রিশ্চিয়ান যিহিষ্কেল মন্ডল বিপ্লব, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মৌলানা নুুরুল কবির, মোহাম্মদ সালমান হাফেজ।
অনুষ্ঠানে প্লে থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাধীনতার কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করে।