২৪ ঘণ্টায় কমেছে মৃত্যু বেড়েছে শনাক্ত

35

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৭২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা সোমবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ২ হাজার ৭৭২ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৫জন হল। আর ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৫ জনে পৌঁছাল।
আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৮০১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৩ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।
আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৭ জুলাই তা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন ও নারী ১১ জন। তাদের ৩৩ জন হাসপাতালে এবং ৪ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৮ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
এদের ২৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন রংপুর বিভাগের, ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের ও ২ জন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত যে ২ হাজার ৯৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৩২ জন পুরুষ এবং ৬৩৩ জন নারী।
তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৫৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৮৫৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪২২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১৯৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৮৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩০ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৮ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের নিচে।
এক হাজার ৪৩২ জন ঢাকা বিভাগের, ৭২৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১৭৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ২০৮ জন খুলনা বিভাগের, ১১২ জন বরিশাল বিভাগের, ১৪০ জন সিলেট বিভাগের, ১১১ জন রংপর বিভাগের এবং ৬২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮১টি ল্যাবে ১২ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ২৪ হাজার ৪১৭টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাসের সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট িি.িফমযং.মড়া.নফ এর ঈঙজঙঘঅ কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’লিংকে অথবা যঃঃঢ়://ধঢ়ঢ়.ফমযং.মড়া.নফ/পড়ারফ১৯-পড়সঢ়ষধরহঃ লিংক ব্যবহার করে পাঠানো যাবে। খবর বিডিনিউজের