২১ বছর পর একমঞ্চে জেএসএস-ইউপিডিএফ

33

২১ বছরের ‘ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত’ আর বৈরিতার পরিবর্তে সমঝোতার নতুন বাতাস বইছে পাহাড়ে। পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ এখন এক মঞ্চে। উদ্দেশ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আঞ্চলিক দলকে বিজয়ী করা।
এতোদিন পরস্পর অনুসারীদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি দূরের কথা, পারিবারিক-সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগদান ও আত্মীয়তা করা ছিল অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ। সেখানে ‘ইউপিডিএফ’র দুর্গ’ রাঙামাটির কাউখালীর তালুকদার পাড়ায় গত সোমবার গণসংযোগ করেছেন জেএসএস’র সহ-সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ ঊষাতন তালুকদার। আর এর আয়োজক ছিল ইউপিডিএফ।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে প্রসীত খীসাপন্থী ইউপিডিএফ ও জেএসএস’র মধ্যে ‘আদর্শিক শত্রুতা’ শুরু হয়। এতে প্রাণ হারিয়েছে দু’দলের কয়েকশো নেতাকর্মী। এছাড়া ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও সংসদীয় আসনেও তারা পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। কিন্তু এবারই প্রথম দু’দলই সিংহ প্রতীকে ভোট চাইছে। গণসংযোগ ও পথসভায় একই মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন দু’দলের নেতারা।
সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার সোমবার সকালে কাউখালীর পোয়াপাড়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ করেন। এরপর পোয়াপাড়া, উপজেলা সদর, কচুখালীতে গণসংযোগ ও তালুকদারপাড়ায় সমাবেশ করে সিংহ প্রতীকে ভোট চান। এ সময় দলটির নেতাকর্মীরা তাঁর সাথে ছিলেন।
ঊষাতন বলেন, পাহাড়ে উন্নয়নের করার দাবি করা হচ্ছে। উন্নয়ন দিয়ে কি করবো? আমরা নিজস্ব পরিচয়ের স্বীকৃতি চাই। প্রায় ৪০ বছর হলো প্রেসিডেন্ট জিয়া পাহাড়ে বাঙালিদের এনেছেন। এখনতো আমরা প্রতিবেশি। অনেক হয়েছে, এখন পাহাড়ি-বাঙালি ভেদাভেদের অবসান হওয়া উচিৎ। কারণ শান্তি না থাকলে উন্নয়ন হবে না।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় প্রেক্ষিত আর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রেক্ষিত এক নয়। শান্তি চুক্তির ২১ বছর হলো এখনো স্থায়ী শান্তি আসেনি। পাহাড়ে এই ভালো, এই মন্দ। কেন? এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে। চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ শাসন ব্যবস্থা এখনো অর্জিত হয়নি।’